আমরা তো কত ধরনের খাবার খাই, যেমন ভাত ডাল, মাছ, বিরিয়ানি, চটপটি ফুচকা, বার্গার…
সব খাবার কি স্বাস্থ্যসম্মত??
সব খাবার কি সহজেই হজম হয়?
ভিডীওঃ সার্ভিস সেন্টারে না গিয়ে নিজেই কার্বন ক্লিন করবেন যেভাবে
এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো অস্বাস্থ্যকর, খেলে পেটে গ্যাস হয়, টক ঢেকুর আসে, বুক জ্বালা করে,
অনেকক্ষেত্রে পেট ব্যাথা হয়, ডায়রিয়াও হতে পারে হজমে ব্যাঘাত ঘটলে। যেটাকে ডাক্তারি ভাষায় বলে ফুডপয়জনিং।
অর্থাৎ খাবার যদি মানসম্মত না হয় অথবা খাবারে ভেজাল থাকে সেটা হয়ে যায় বিষের সমতুল্য।
এর নিয়মিত এসব খাবার খেয়ে নস্ট হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন কলকব্জা, ধংস হচ্ছে জীবনীশক্তি, এগিয়ে যাচ্ছি মৃত্যুর দিকে।
ভিডিওঃ Motorcycle Tyre code details
ঠিক একই ভাবে আমরা যখন নতুন বাইক চালাই তখন দেখি বাইক দারুন চলছে, এক্সিলারেশন, মাইলেজ সব একদম ১০০ তে ১০০, খুব মজা লাগছে বাইক চালাতে, ইচ্ছা করছে এক টানে চলে যাই কয়েকশো কিলোমিটার।
আরো পড়তে পারেন
- Bajaj Pulsar NS160 vs New Pulsar N160: Differences Comparison, Bike Price, Mileage, Colours
- কেন বাইকের স্টার্টার মোটর নষ্ট হয়ে যায়
কিছুদিন না যেতেই দেখি মাঝে মাঝে চলন্ত অবস্থায় বাইক ধাক্কাচ্ছে, এক্সিলারেশন মিস করছে, ঠাস ঠুস মিস্ফফায়ার করছে, মাইলেজ কমে গেছে, এমনকি স্টার্ট নিতেও ঝামেলা করছে।
এই দুইটা সিন বাইকারদের জন্য খুবই কমন, আর বাইকের এই ভালো পার্ফমেন্স আর খারাপ পার্ফমেন্স এর পিছনে সরাসরি দ্বায়ী হলো বাইকের খাবার অর্থাৎ ফুয়েল।
ভিডিওঃ N160 PRICE REVIEWS SPECIFICATION FULL BANGLA COMPARISON WITH NS160
আমাদের দেশের ফুয়েলের মান কেমন সেটা আশা করি কাউকে বলে বুঝানোর দরকার নাই, এটা নিয়ে বেশি কিছু বলতে গেলে চাকরি যাওয়ার ভয় আছে।
একে তো লিটার ১৩০ টাকা, তার উপর দেয় মাপে কম সেটাও মানলাম কিন্ত বোঝার উপর শাকের আটি হিসেবে পাচ্ছি ভেজাল তেল।
এই ভেজাল তেলের কারনে ইঞ্জিনের ভিতর ঘন্টা বাজছে প্রতিদিন। ঠিক মত তেল বার্ন হচ্ছেনা,, সিলিন্ডার হেড, পিস্টন ক্রাউন আর ভালবের মাথায় জমছে কালির মত কার্বনের স্তর। কমছে বাইকের কম্বাশন ক্ষমতা, দ্রুত নস্ট হচ্ছে ইঞ্জিন এর নানান পার্টস। সহজ কথায় বাইকের কলিজা কালো হয়ে যাচ্ছে খুব দ্রুত। আর জ্যামের মধ্যে চালানোর কারনে বারবার ইঞ্জিন বন্ধ চালু করার কারনে এই কার্বন ডিপোজিট জমছে আরো দ্রুত।
ভিডিওঃ Lifan kpt 150 4v চায়না বাইক কাঁদায় নাকি হাসায় ?
এখন নিশ্চই আপনাদের মনে প্রশ্ন এসেছে তাহলে এই সমস্যার সমাধান কি?
সমাধান ২ টা, এক হলো ভেজালমুক্ত ভালো মানের ফুয়েল ইউজ করা যা এক কথায় প্রায় অসম্ভব,
দুই, ইঞ্জিন না খুলে এডিটিভের মাধ্যমে কার্বন ডিপোজিট পরিস্কার করে ফেলা।
আরো পড়তে পারেন
ইঞ্জিন না খুলে কার্বন ডিপোজিট পরিস্কার করার জন্য যে এডিটিভ টা আমরা ব্যাবহার করতে পারি তার নাম কার্বন ক্লিনার।
বাজারে অনেক ব্রান্ডের কার্বন ক্লিনার পাওয়া যায়, আমার হাতে যে বোতল টা দেখছেন এর নাম ইয়ামালুব কার্বন ক্লিনার, এটি মুলত pea বেজড একটা ক্লিনার যা খুব এফেক্টিভলি কার্বন ডিপোজিট ক্লিন করে।
এটি কিভাবে ইউজ করতে হয় এবং এটা কিভাবে কাজ করে?
ইয়ামালুব কার্বন ক্লিনার ফুয়েলের সাথে মিশিয়ে দিতে হয় একটা নির্দিষ্ট রেশিওতে। যেমন ট্যাংকে ২ থেকে ৪ লিটার তেল থাকা অবস্থায় ৫০ মিলি ইয়ামালুব কার্বন ক্লিনার ঢেলে দিতে হবে এবং বাইক চালাতে হবে। তেলের সাথে কার্বন ক্লিনার মিশে ইনজেকটর, ভালভ, পিস্টন ক্রাউন, সিলিন্ডার হেডে জমে থাকা কার্বনকে নরম করে এক্সহস্ট সিস্টেম দিয়ে বের করে দেবে। এতে কার্বন পরিস্কার হবার কারনে বাইকের পার্ফমেন্স আস্তে আস্তে আবার নতুনের মত হয়ে যাবে। এক্সিলারেশন, মাইলেজ, পার্ফমেন্স সব আবার রিস্টোর হয়ে যাবে।
তবে নতুন বাইকের ক্ষেত্রে কার্বন ক্লিনার ইউজ করার প্রয়োজন নেই। মোটামুটি ৫-৭ হাজার কিমি বা তার বেশি চালানো হয়েছে এমন যেকোনো বাইকে কার্বন ক্লিনার ইউজ করলে পার্থক্য টা সহজেই বুঝা যায়। আমাদের দেশের তেলে যে পরিমান ভ্যাজাল থাকে তার উপর ভিত্তি করে প্রতি ৩-৪ হাজার কিমি পর পর ইয়ামালুব কার্বন ক্লিনার ইউজ করলে বাইক সবমসময় ভালো পার্ফম করবে।
এখন যদি আমার এক্সপেরিয়েন্স বলি, তাহলে এই fzs v3 টা অলরেডি ১৫ হাজার কিমি+ চালানো হয়ে গেছে, লাস্ট কিছুদিন যাবত এক্সিলারেশন মিস করা, মাইলেজ কিছুটা কম মনে হচ্ছিলো এবং ইঞ্জিন নকিং ফিল হচ্ছিলো, তবে ইঞ্জিন নকিং টা সবসময় না, মাঝে মাঝে হচ্ছিলো সকাল বেলা।
ভিডীওঃ Why fzs fi v2 dd best selling bike in Bangladesh
প্লাগ খুলে দেখলাম প্লাগের মাথায় কিছুটা কালি। এরপর কার্বন ক্লিনার ইউজ করলাম পর পর ২ টা।
এখন মনে হচ্ছে বাইক আবার আগের মত পার্ফমেন্স দিচ্ছে। এক্সিলারেশন অনেকটাই হালকা মনে হচ্ছে, মাইলেজ বাড়েনি, তবে নতুন অবস্থায় যা পেতাম সেটা আমার ফেরত এসেছে।
যারা কার্বোরেটর ইঞ্জিনের বাইক ইউজ করেন তাদের ক্ষেত্রে কার্বন ডিপোজিটের স্বীকার হওয়ার প্রবনতা সবচেয়ে বেশি, কারন তেল খারাপ এবং কার্বোরেটর এর ম্যানুয়াল টিউনিং অনেক সময় একুরেট হয় না তাই এয়ার+ফুয়েলের মিক্সচার ইমপ্রপার হয় ফলে রিচ মিক্সিং বা লীন মিক্সিং সমস্যা অহরহ হতে দেখা যায়, ফলাফল হলো কার্বন ডিপোজিট এবং ইঞ্জিনের পার্ফমেন্স ড্রপ করা।
যারা fi ইঞ্জিনের বাইক ইউজ করেন তাদের ক্ষেত্রে ফুয়েল+এয়ার মিক্সিং একুরেট হলেও নিমমানের তেলের কারনে প্রপার কম্বাশন হয়না এবং আনবার্ন্ড ফুয়েল কার্বন ডিপোজিট হিসেবে প্লাগ, ভালভ, পিস্টন হেড ও ক্রাউনে জমতে থাকে, এমনকি ইঞ্জেকটর এবং ইঞ্জিনে থাকা অন্যান্য সেন্সরও কার্বন ডিপোজিটের কারনে কার্যক্ষমতা হারায়।
তাই, যারা বাইকের পার্ফমেন্স নতুনের মত রাখতে চান তারা ইয়ামালুব কার্বন ক্লিনার এডিটিভটি ইউজ করতে পারেন।
এটার দামও খুব বেশি না, মাত্র ২৭০ টাকা।
পাবেন যেকোন ইয়ামাহা অথোরাইজড সেলস ও সার্ভিস পয়েন্টে৷
বাজারে অন্যান্য ব্রান্ডের ও কার্বন ক্লিনার পাওয়া যায়, তবে সেগুলো অথেনটিক কিনা সেটা নিয়ে কিছু কনফিউশান আছে তাছাড়া পৃথিবীরে সর্বাধিক জনপ্রিয় ফুয়েল সিস্টেম ক্লিনার হলো Poly Ether Amine যাকে সংক্ষেপে PEA বলে। এটার ক্লিনিং এফিসিয়েন্সি সবচেয়ে বেশি এমনকি এটা কম্বাশনের সময় বার্ন হয়ে যায়না বলে আউটলেট ভালভও ক্লিন হয় এই এডিটিভের মাধ্যমে।
এই কারনেই এটা বেছে নিয়েছি।
ভিদিওঃ Yamaha Saluto Mileage Test Review
চাইলে আপনারাও ট্রাই করে দেখতে পারেন, এটা যেকোনো ব্রান্ডের বাইকেই ইউজ করা যাবে এবং রেজাল্ট সেইম।
শুধু খেয়াল রাখতে হবে সঠিক পরিমাণে ইউজ করছেন কিনা।
২ থেকে ৫ লিটার তেলে ৫০ মিলি আর ৫ থেকে ১০ লিটার তেলে ১০০ মিলি রেশিওতে ইউজ করতে হবে।
ইউজ করে কমেন্টে ফিডব্যাক দিতে পারেন।
আজকে এপর্যন্তই, দেখা হবে নতুন কোনো এডিটিভ নিয়ে যেটা আপনার খরচ বাচাবে এবং বাইকের পার্ফমেন্স ধরে রাখবে।
আরো পড়তে পারেন