বাইক চলানোর সময় হেলমেট পরা জীবনের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দুর্ঘটনার সময় মাথায় আঘাতের ঝুঁকি কমায় এবং মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। হেলমেট ধুলো, পোকা ও বাতাস থেকে চোখ ও মুখ রক্ষা করে, যা চালানোর সময় মনোযোগ বজায় রাখতে সহায়তা করে। সঠিক হেলমেট ব্যবহার নিজেকে এবং প্রিয়জনদের প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক।
হেলমেট কেনার সঠিক নিয়ম:
সার্টিফিকেশন চেক করুন:
- DOT, ECE, বা Snell সার্টিফিকেশন আছে কি না তা নিশ্চিত করুন। এই সার্টিফিকেশন মানে হেলমেটটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন।
সঠিক সাইজ নির্বাচন করুন:
- মাথার মাপ অনুযায়ী হেলমেটের সাইজ বাছাই করুন। খুব টাইট বা খুব ঢিলা হেলমেট নিরাপত্তা দেবে না।
মেটেরিয়াল ও কনস্ট্রাকশন:
- হেলমেটের আউটার শেল শক্তিশালী এবং ইনার লাইনার (প্যাডিং) আরামদায়ক ও শক অ্যাবজর্বিং হতে হবে।
ভেন্টিলেশন:
- হেলমেটে পর্যাপ্ত ভেন্টilation আছে কি না দেখে নিন, যাতে দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারেও আরামদায়ক থাকে।
ভিসর বা শিল্ড:
- ক্লিয়ার ভিসর থাকা উচিত, যা ইউভি প্রটেকশন দেবে। নাকি ক্র্যাশ রেসিস্ট্যান্ট কিনা তা চেক করুন।
ডিজাইন ও রঙ:
- উজ্জ্বল রঙের হেলমেট বেছে নিন যাতে রাতে বা কম আলোতেও অন্য গাড়ি চালকেরা আপনাকে সহজেই দেখতে পারে।
মূল্য:
- খুব সস্তা বা ডুপ্লিকেট হেলমেট এড়িয়ে চলুন। একটি ভালো ব্র্যান্ডের হেলমেট কিনুন যা আপনার জীবনের মূল্য অনুযায়ী সঠিক।
হেলমেট পরার সঠিক নিয়ম:
ফিটিং চেক করুন:
- হেলমেট মাথার সাথে পুরোপুরি বসবে, তবে আরামদায়ক হবে। এটি নড়াচড়া বা ঘোরার সময় আলগা হওয়া উচিত নয়।
স্ট্র্যাপ সঠিকভাবে লাগান:
- চিবুকের নিচের স্ট্র্যাপটি সঠিকভাবে লাগান এবং এটি যেন খুব বেশি ঢিলা না হয়। এটি দুই আঙুলের বেশি জায়গা না রাখে।
ভিসর ব্যবহার করুন:
- চালানোর সময় ভিসর নামিয়ে রাখুন, যাতে ধুলো, পোকা বা বাতাস আপনার চোখে না লাগে।
রেগুলার ক্লিনিং:
- হেলমেট এবং এর ভিসর নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। এতে ভিউ পরিষ্কার থাকবে।
সময়মতো পরিবর্তন করুন:
- ৫ বছর বা বড় দুর্ঘটনার পর হেলমেট অবশ্যই পরিবর্তন করুন, কারণ হেলমেটের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
বাড়তি পরামর্শ:
- হেলমেট সবসময় ভালো ব্র্যান্ড থেকে কিনুন।
- রাইডের সময় হেলমেটের ফিটিং এবং স্ট্র্যাপের অবস্থা নিশ্চিত করুন।
- সঠিকভাবে হেলমেট ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হোন এবং অন্যকেও সচেতন করুন।
আপনার নিরাপত্তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ!