Bajaj Pulsar NS160 vs New Pulsar N160: Differences Comparison, Bike Price, Mileage, Colours

ফেব্রুয়ারি 11, 2023

Bajaj Pulsar NS160 vs New Pulsar N160: Differences Comparison, Bike Price, Mileage, Colours
আজকে পালসার n160 আছে কিউরিয়াস বাইকারের হাতে আর জানার চেস্টা করবো নতুন এই বাইক আমাদের কিকি ফিচার অফার করছে, রাইড কোয়ালিটি কেমন, আর ভিডিওর শেষে থাকবে ফিচার এন্ড কোয়ালিটি অনুযায়ী বাইকের দাম জাস্টিফাইড কিনা?

Pulsar N160 বাংলাদেশে পালসার সিরিজের একদম নিউলি লঞ্চড বাইক।

বাজাজ বাংলাদেশের বাইকারদের জন্য একটা ভরসা করার মত ইন্ডিয়ান মোটরসাইকেল ব্রান্ড।

আর তরুন সমাজে বাজাজ পালসার সিরিজ একটা অন্যতম জনপ্রিয় সিরিজ।

সেই ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পালসার সিরিজ দারুন সফল একটা সিরিজ।

আমার এখনো মনে আছে ২০০৪-২০০৫ সালের দিকে পালসার ১৫০ ডিটিএসআই ছিলো তরুন সমাজের অন্যতম ড্রিম বাইক এবং যার কাছে সেই সময় একটা পালসার ছিলো তার স্ট্যাটাস ই ছিলো অন্যরকম।

২০০৭ সালে এলো ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল এবং এলইডি ব্রেকলাইট সহ পালসার ১৫০ এর আপগ্রেড মডেল আর শুরু হলো পালসারের স্বর্নযুগ।

আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, সারাদেশে পালসার এতই জনপ্রিয়তা পেলো যে পালসার হয়ে উঠলো ১৫০ সিসি সেগমেন্টে বেস্ট সেলিং বাইক।

সময়ের সাথে সাথে পালসার সিরিজে রেগুলার পালসারের আরো আপগ্রেডের সাথে সাথে নতুন নতুন সিরিজ আসতে থাকলো। তার মধ্যে পালসার AS, NS ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

আর এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে ভারতে রিলিজ হয় all new পালসার n160.

নতুন রিফ্রেশিং লুকের সাথে সাথে যুগের সাথে তাল মেলাতে এতে যুক্ত হয়েছে লেটেস্ট ফিচারস।

#

আরো পড়তে পারেন

আজকে পালসার n160 আছে কিউরিয়াস বাইকারের হাতে আর জানার চেস্টা করবো নতুন এই বাইক আমাদের কিকি ফিচার অফার করছে, রাইড কোয়ালিটি কেমন, আর ভিডিওর শেষে থাকবে ফিচার এন্ড কোয়ালিটি অনুযায়ী বাইকের দাম জাস্টিফাইড কিনা?

তো চলুন, চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমরা বাইকটি নিয়ে গবেষণা শুরু করি৷

লুকঃ

লুক আসলে সাব্জেক্টিভ ব্যাপার। ওভারল বাইকের লুক আমার কাছে যথেষ্ট স্মার্ট লেগেছে। ফ্রেশ একটা নতুন লুক এবং ডিজাইন নিয়ে এসেছে N160.

এই নতুন লুক টা খুব বেশি দরকার ছিলো, কারন সেই পুরানো একই চেহারা এত বছর ধরে দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। ডুয়াল টোন কালার & ম্যাট+গ্লসি ফিনিশ আর স্পোর্টি আন্ডারবেলি এক্সহস্ট বাইকে নতুন একটা আকর্ষণ এড করেছে। এক্সহস্ট নোটটাও বেশ ভারি which is a good touch.

Official or Unofficial bike, which will be the best

হেডলাইটঃ

বাইকের সামনের দিকে একটা মেজর আপডেট এসেছে হুইচ ইজ বাই ফাংশনাল এলইডি প্রোজেশন হেডল্যাম্প।

একই সেগমেন্টের অন্যান্য বাইকে এলইডি হেডলাইট কমন হলেও প্রোজেকশন এখানে একটা বাড়তি ফিচার হিসেবে পাচ্ছি যা যথেষ্ট ইউজফুল।

প্রোজেকশন লাইটের বীম এবং ফোকাস খুবই সুন্দর ও একুরেট হয়। সাথে থাকছে ডি আর এল অর্থাৎ ডে টাইম রানিং লাইট।

দূর থেকে বাইকের সামনের দিকটা দেখলে অনেকে MT15 বলে ভুল করতে পারেন।

ফুয়েল ট্যাংকঃ

ছবিতে বেশ বড়সড় লাগলেও বাস্তবে বাইকটা খুব বেশি মাস্কুলার নয় তবে ফুয়েল ট্যাংকে ১৪ ফুল ধরবে এটা বেশ ভালো ব্যাপার। কিন্ত ১৩০ টাকা লিটার তেল হবার কারনে ট্যাংক ফুল করতে গিয়ে আপনার কলিজায় মোচড় খাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সীটঃ

সুন্দর একটা স্প্লীট সীট থাকছে এই বাইকে, পেছনের সীটের এম্বুজ করা পালসার লেখাটা বেশ দারুন লাগছে।

এতদিন গ্রামের চাচাত ভাইরা মুলত পালসার কিনতো ৩ জন বসার জন্যই 😂 এখন তাদের কি হবে সেটা ভেবে একটু খারাপই লাগছে। কারন এই সীটে ২ জনের বেশি বসার তেমন সুযোগ নাই।

সীটের ম্যাটেরিয়াল ও কুশনিং বেশ ভালো। সীট হাইট ৭৯৫ মিলিমিটার তাই যেকোনো হাইটের রাইডার ইজিলি বাইকটা চালাতে পারবে৷

Motorcycle Riding Tips For Women

ব্রেক লাইটঃ

ব্রেকলাইট জিজাইন টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। পালসারের এলইডি ব্রেকলাইট আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর ব্রেকলাইটগুলোর মধ্যে সেরা।

আগের সিরিজ গুলোর মতই এইবারের পালসার n160 র ব্রেকলাইটও আইডেন্টিক্যাল এবং গ্লিটার প্যাটার্নড।

অনেকদুর থেকেও রাতের বেলা শুধু ব্রেকলাইট দেখে মুহুর্তেই বলে দেয়া সম্ভব thats pulsar.

চাকাঃ

হুইল সেকশনেও এসেছে পরিবর্তন। মোটা চাকার প্রতি আমাদের আবেগ অনেক বেশি যার কারনে fzs, gixxer, hornet কে আমরা একটু বেশিই এগিয়ে রাখতাম পালসারের চেয়ে। তবে সেই অভাব এবার পুরন করে দেয়া হয়েছে। সামনে 100 by 80 আর পিছনে দেয়া হয়েছে 130 by 70 সাইজের ওয়াইডার টিউবলেস টায়ার। যা বাইকটিকে দেখতে সুন্দর করার পাশাপাশি বাইকের ব্যালেন্স, ব্রেকিং ও স্ট্যাবিলিটি বাড়িয়েছে।

ইঞ্জিনঃ

ইঞ্জিনেও এসেছে ভালো পরিবর্তন, টোটালি রি-ডিজাইন করা হয়েছে ইঞ্জিনটি। ১৬৪ সিসির এই সিংগেল সিলিন্ডারের ইঞ্জিনটি 16 bhp & 14.65 নিউটন মিটার অফ টর্ক ডেলিভারি করতে পারবে।

গিয়ারবক্স হিসেবে পাবেন 5 speed কন্সট্যান্ট ম্যাশ গিয়ারবক্স যা প্রিভিয়াস পালসারগুলোর চেয়ে অনেক বেশি স্মুথ। ইঞ্জিনের পাওয়ার ডেলিভারিও ভীষণ স্মুথ, এই স্মুথনেসটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।

ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখার জন্য দেয়া হয়েছে অয়েল কুলিং টেকনোলজি। ইঞ্জিনটি টু ভালভ না হয়ে ফোর ভালভ হলে খেলা জমে যেতো।

ইঞ্জিনে Fuel Injection টেকনোলজি ইউজ করা হয়েছে এই ব্যাপারে আমি বেশ খুশি। কারন ২০২২-২৩ সালে এসে কার্বোরেটর ইঞ্জিনের বাইক মেনে নেয়া কঠিন।

ইঞ্জিনের সামনে ডুয়াল টোন ইঞ্জিন কাউল বাইকের লুক টা আরেকটু বেশি স্পোর্টি করে দিয়েছে৷

সাসপেনশন এবং ব্রেকঃ

সামনে 37mm টেলিস্কোপিক সাসপেনশন আর পেছনে নাইট্রক্স গ্যাস চার্জড মনোশকের কম্বিনেশন বেশ ভালো ফিডব্যাক দিচ্ছে। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬৫ মিলিমিটার।

ব্রেকিং ডিপার্টমেন্টে এবার বড় চেঞ্জেস পাওয়া যাচ্ছে। ডুয়াল ডিস্ক ব্রেকের মধ্যে সামনের ডিস্ক টা হিউজ! which is 300 মিলিমিটার। পেছনে থাকছে 230 মিলিমিটার ডিস্ক। সাথে বাড়তি পাওনা হিসেবে আছে ডুয়াল চ্যানেল এবিএস। ১৬০ সিসি সেগমেন্টের মিড বাজেট বাইকে একমাত্র N160 বাইকটাই ডুয়াল চ্যানেল এবিএস অফার করছে। very good job!

কিন্ত ব্রাইবি, নিশিনের মত পরিচিত এবং প্রুভেন ব্রেক সেটাপ না দেয়ায় এখানে আমি কিছুটা কনফিউজড।

কারন ব্রেকিং ইকুইপমেন্টের ক্ষেত্রে গ্রেমিকা নামটা নতুন তাই বেশ কিছুদিন ইউজ না করে এটার পার্ফমেন্স বা ডিউরেবিলিটি নিয়ে মতামত দিতে পারছি না। কিন্ত ব্রেকিং বাইট ভালো ছিলো, স্টপিং ডিস্ট্যান্সও বেশ কম।

কনসোল প্যানেলঃ

কন্সোল প্যানেল এই বাইকের ওয়ান অফ দ্য বেস্ট পার্ট। বাজাজ এই প্যানেলকে বলছে ইনফিনিটি কনসোল। একটু ভিন্নধর্মী ডিজাইনের সাথে এতে আছে গিয়ার ইন্ডিকেটর, ঘড়ি সহ প্রয়োজনীয় সকল ইনফরমেশন। সেই সাথে এভারেজ মাইলেজ ও ট্যাংকে থাকা ফুয়েল কতটা ডিস্ট্যান্স কভার করবে তাও জানা যাচ্ছে। nice feature.

এই বাইকে এর কম্পিটিটর বাইকগুলোর মত ব্লুটুথ গেম নাই তবে ইউএসবি মোবাইল চার্জিং পোর্ট থাকছে ট্যাংক ফ্ল্যাপে। useful thing.

হ্যান্ডেলবারঃ

থ্রি পার্ট বা ক্লিপ অন থেকে সরে এসে এবার N160 তে দেয়া হয়েছে পাইপ হ্যান্ডেলবার। তবে এখানে একটা টুইস্ট আছে। বাজাজ এবার এখানে একটু স্মার্টলি খেলেছে, cost কাটিং এর পাশাপাশি হ্যান্ডেলটার হাইট & বেন্ড এমনভাবে প্রিসাইজ করেছে যাতে কম্ফোর্ট আর স্পোর্টি সীটিং পজিশনের একটা ভালো কম্বিনেশন হয়েছে। thumbs up for this.

দামঃ

এতসব ফিচার দিয়ে বাইকটি বাজারে এসেছে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা প্রাইস পয়েন্টে। অবশ্য বর্তমানে সব বাইকেরই দাম একটু বেশি বেশি then again আমার কাছে প্রাইসটা একটু বেশি বলেই মনে হচ্ছে।

যদিও বাংলাদেশে পালসার সিরিজের গ্রহনযোগ্যতা বেশ ভালো তবুও ব্রান্ড ভ্যালুর দিক চিন্তা করলে আমার মনে হয় কারো বাজেট যখন আড়াই লাখ টাকা ক্রস করে তখন সে সহজেই ইন্ডিয়ান ব্রান্ড থেকে জাপানিজ ব্রান্ডের দিকেই ডাইভার্ট হয়ে যায়।

so প্রাইস টা যদি ২ লাখ ৩৫ এর আশেপাশে হতো তাহলে এটেনশন অনেক বেশি পেতো এই Pulsar N160.

আরো পড়তে পারেন