রাস্তা ভেজা হলেই Brake-এর আসল পরীক্ষা। একজন Biker সেটা ভালমতো জানেন। বর্ষাকালে মোটরসাইকেলের চাকা ভিজে গেলে ব্রেক কষতে হয় বুঝে-শুনে। তবে এদেশের রাস্তায় ব্রেক-ই যেন যানবাহনের প্রধান জিনিস।
কখনও গরু, কুকুর আচমকা চলে আসে চলন্ত মোটরসাইকেলের সামনে। কখনও বেপরোয়া গাড়ি বিপদে ফেলে। কখনও আবার রাস্তায় পড়ে থাকে বালি, সুড়কি। ফলে ব্রেক সময়মতো কাজ না করলেই মহাবিপদ হতে পারে।
এখন অবশ্য মোটরসাইকেলে ABS সিস্টেম থাকায় সুরক্ষা আগের থেকে কিছুটা সুনিশ্চিত হয়েছে।
- ৫ টি মোবাইল টিপস রাইডার এর জন্য
এখনও সব মোটরসাইকেলে Anti-lock Braking System থাকে না। ফলে এবিএস বাদ দিলে মোটরসাইকেলে সাধারণত দুধরণের Brake দেখা যায়। Disc ও Drum Brake. এই দুই ধরণের ব্রেকের ফারাক বিস্তর। সুবিধা, অসুবিধাও রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক-
ডিস্ক ব্রেক Vs. ড্রাম ব্রেক এর পার্থক্য জানার আগে ব্রেক সিস্টেম সম্পর্কে হালকা ধারনা নেই।
ব্রেক হচ্ছে এমন একটি ডিভাইস যা গতিশীল কোন মোটরচালিত যান কে থামানোর জন্য ব্যাবহার করা হয় । ব্রেক ডিভাইস গতিশক্তিকে অন্য শক্তিতে ট্রান্সফার করে থাকে।
চাকার ঘূর্ননের ফলে যে কাইনেটিক শক্তি থাকে তা তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং ব্রেক প্যাড কন্টাক সারফেসের ঘর্ষনের কারনে। যেকোনো ব্রেকের কর্মক্ষমতা নির্ভর করে কতোটা কাইনেটিক শক্তিকে তাপ শক্তিকে রুপান্তর করতে পারে এবং কতটা তাপ শোষন করতে পারে। দেখুন ডিস্ক ব্রেক ও ড্রাম ব্রেক এই ব্রেক ডিভাইস কি দুটি সিস্টেম কি কাজ করে থাকে।
ড্রাম ব্রেক পদ্ধতি
ড্রাম ব্রেক সিস্টেম এর নাম শুনে মনে হচ্ছে এই ব্রেক সিস্টেম দেখতে অনেকটা ড্রামের মত হবে । এই ব্রেক সিস্টেম গাড়ির চাকার সাথে সাথে মুভ করে। ড্রাম ব্রেক সিস্টেম এর ২টি অংশ হচ্ছে ব্রেক প্যাডস এবং পিস্টন। যখন এই ব্রেক টি চেপে ধরা হয়ে থাকে তখন ব্রেক ফ্লুইড পিস্টন এর বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করে, যেন পিস্টন ব্রেক সো কে স্পিনিং ড্রাম এর সাথে চেপে ধরে ।
ডিস্ক ব্রেক পদ্ধতি
ডিস্ক ব্রেক একটি ঘূর্ণমান ডিভাইস যা চাকার সঙ্গে বরাবর ঘোরে। ব্রেক প্যাডগুলি ডিস্কের উভয় পাশে উপস্থিত থাকে, যা ব্রেকটির বিরুদ্ধে চাপলে গাড়িটি বন্ধ হয়ে যায়। ডিস্ক ব্রেকের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ডিস্ক ব্রেকে ছোট ছোট হোল দেয়া থাকে যেন ব্রেক গরম হলেও বাতাস চলাচল করতে পারে। কিন্তু ড্রাম ব্রেক গরম হলেও বাতাস চলাচল করতে পারে না।
ডিস্ক ব্রেক ভালো নাকি ড্রাম ব্রেক ?
ড্রাম ব্রেকের থেকে ডিস্ক ব্রেক অনেক বেশি কার্যকরী। ডিস্ক থাকে হুইল-এর বাইরে। ফলে খোলা হাওয়ায় তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হতে পারে। আর তাই প্রয়োজনের সময় ডিস্ক ব্রেক অনেক বেশি কার্যকরী হয়। অন্যদিকে, ড্রাম ব্রেক থাকে হুইলের ভিতরে। তাই সহজে ঠাণ্ডা হয় না। ফলে অনেক সময়ই ড্রাম ব্রেক সময়মতো কাজ করে না। তবে ড্রাম ব্রেক তুলনায় অনেক বেশি মজবুত হয়। কারণ এতে কোটিং করা থাকে। ফলে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
- নতুন বাইক কেনার আগে যে বিষয় বিবেচনা করবেন
ড্রাম ব্রেকের রক্ষণাবেক্ষণে খরচ কিন্তু বেশি। কারণ এটি হুইলের ভিতর দিকে থাকে। একবার বিগড়ে গেলে সহজে ড্রাম ব্রেক মেরামত করা যায় না। ছোটখাটো গোলমাল দেখা দিলেও ড্রাম ব্রেক সারাতে মেকানিকের কাছে নিয়ে যেতে হয়। ডিস্ক ব্রেক তুলনায় দামি। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণে বেশি ঝামেলা নেই। হুইলের বাইরের দিকে থাকায় এই ব্রেক মেরামত করাটাও সহজ।
- কেমন মেয়ে রাইডার কে ডেট করবেন?
ভিজে রাস্তায় ড্রামের থেকে ডিস্ক ব্রেক অনেক বেশি কার্যকর। যদিও মোটরসাইকেলের গতি বেশি হলে কখনওই ডিস্ক ব্রেক প্রয়োগ করা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে চাকা পিছলে বিপদ হতে পারে। তবে চাকা ভেজা থাকলে ড্রাম ব্রেক কার্যকর নাও হতে পারে। কারণ সেক্ষেত্রে ব্রেক থ্রু ও লাইনিং-এর মাঝে গ্রিপ ঠিকভাবে নাও হতে পারে। ফলে যে কোনও পরিস্থিতিতেই ডিস্ক ব্রেকের সঠিকভাবে কাজ করার সম্ভাবনা বেশি। তবে ডিস্ক ব্রেক ব্যবহারে বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। না হলে চাকা পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বাইক সম্পর্কে জানতে, জানতে ও সাইটের আপডেট পেতে সাইটটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং ফেসবুক ফ্যান পেজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন ।