নতুন বাইক কেনার সময় যে বিষয় গুলো চেক করবেন

নভেম্বর 09, 2021

নতুন বাইক কেনার সময় যে বিষয় গুলো চেক করবেন

অধিকাংশ বাইক ক্রেতার কাছেই একটা নতুন বাইক শুধু প্রয়োজন মিটানোর উপকরন বা শখ নয়। এর সাথে জড়িয়ে থাকে শপ্ন, অনেক আবেগ।

কিন্তু আমরা জখন বাইক কিনতে যাই তখন আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেক ভুল করে বসি বা অনেক কিছুতে নজর দিতে ভুলে যাই।

আবার হয়ত অনেকে জানিইই না নতুন বাইক কেনার সময় কি কিবিষয় গুলো চেক করবেন।

যারা নতুন বাইক কিনেছেন বা সামনে কিনবেন এই লেখাটি শুধু তাদের জন্য ।

শুরুতেই সংক্ষেপে কিভাবে আপনার জন্য বাইক নির্বাচন করবেন তা আলোচনা করা জাক।

এই বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের লেখা রয়েছে, পড়তে ক্লিক করুন

বাইক কেনার আগে করনীয়

>> নিজের পছন্দ ও সামর্থ্য কে এক সাথে করে আপনার জন্য বাইক নির্বাচন করুন। অধিকাংশ মতামতের ভিত্তিতে বা ১০ টা মানুষকে না জিজ্ঞেস করে নিজের যে বাইক টা ভালো লাগে বা পছন্দ হয় সেটা কেনার চেষ্টা করুন ।

>> আপনি বাইক কেনার আগেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি না থেকে থাকে সেটার জন্য আবেদন করুন । এতে বাইক কিনতে কিনতে আপনার লাইসেন্স চলে আসলে আর ভেজাল হবে না ।

>>নিকটস্ত স্পেয়ার পার্টস এবং ভালো সার্ভিস সেন্টারের খোঁজ করে রাখুন, যাতে যে কোন দরকারে সাহায্য নিতে পারেন।

বাইক কেনার সময় করনীয়

>> একটা ভালো বিশ্বাসযোগ্য/রেপুটেড শোরুম থেকে বাইক কিনুন ।এমন একটি শোরুম নির্বাচন করুন যে শোরুমটি আপনার বাসার কাছাকাছি এবং নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের অথরাইজ শোরুম যে শোরুমে আপনি সেলস, সার্ভিস, পার্টস সবগুলো একসাথে পাবেন।

>> শোরুমে গিয়ে বাইক পছন্দ করার সময় বাইকের যে বাইকটি আপনি আপনার জন্য সিলেক্ট করেছেন বা নির্ধারিত করেছেন সে বাইকটির সব নাট বলটু ঠিক আছে কিনা, সব রকমের পার্টস ঠিক আছে কিনা, কোন পার্টস ভাঙ্গা বা পুরাতন কিনা, টায়ার লিক আছে কিনা এগুলো চেক করে নিন ।

>> বিক্রয় রশিদ পাওয়ার পরে রশিদে উল্লেখ করা ইঞ্জিন ও চেসিসি এর নাম্বার বাইকের সাথে মিলিয়ে নিবেন।

>> যদি সম্ভব হয় বাইকটি একবার টেস্ট ড্রাইভ দেওয়ার তাহলে দিয়ে চেক করে নিন। তা না হলে যখন অবশ্যই বাইকটি বুঝে নিবেন তখন একবার টেস্ট ড্রাইভ দিয়ে চেক করে নিবেন যদি ইনস্ট্যান্ট কোন প্রবলেম আপনি খুঁজে পান সেটা সাথে সাথে শোরুম কে ইনফর্ম করবেন।

>> বাইকের নাম্বার করার জন্য যে চালানের কাগজ দরকার পরে সেটা একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিয়ে বুঝে নিন । সাধারণত একেক শোরুম এ একেক অংকের টাকা চায় । তবে এইটা ১০০০-২০০০ এর মধ্যেই হয়ে যাবে । যদি শোরুম থেকে নাম্বার করান তাহলে তারা আপনার নাম্বার করার রশিদ এর সাথেই এই টাকা যোগ করে দিবে । নিজে নিজে নাম্বার করতে চাইলে এই কাগজ আপনাকে বিআরটিএ তে জমা দিতে হবে (অবশ্যই একটা ফটোকপি রাখবেন) ।

>> শোরুম থেকে সার্ভিস ম্যানুয়াল, বাইক এর ম্যানুয়াল এবং সার্ভিস টোকেন বুঝে নিন । সার্ভিস টোকেন ছাড়া আপনাকে ফ্রি সার্ভিস তারা দিবে না । আপনি আপনার বাইক এর জন্য ৩-৪ টা ফ্রি সার্ভিসিং পাবেন । বাইক এর ম্যানুয়াল অনেকে তুচ্ছ মনে করে এই ব্যাপারে পরে আসছি বিস্তারিত ।

বাইক কেনার পরে করনীয়

বাইক এর ম্যানুয়াল বই পুরোটা পড়ে ফেলুন । অনেক কাজে দিবে আর অনেক প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন । বাইক এর টায়ার প্রেশার , ব্রেক ইন পিরিয়ড, পিরিয়ডিক মেইন্টেনেন্স, ইঞ্জিন অয়েল গ্রেড সবই লেখা আছে ম্যানুয়াল বইতে । এইটা পড়লে কষ্ট করে আপনাকে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে পোস্ট দিতে হবে না অনেক জায়গায় । এই ম্যানুয়াল বই কে বলি একটা বাইক এর বাইবেল ।

অতএব আপনার স্বপ্নের নাতুন মোটরসাইকলটি কেনার আগে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয় গুলোর খোজ খবর নিবেন। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে কোন উৎসবের (ঈদ, নববর্ষ) সময় বাইক কিনুন । এই সময়গুলোতে মোটরসাইকেল ডিলারগণ অনেক অফার বা নগদ মূল্য ছাড় দিয়ে থাকেন।