ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে যে সমস্ত কমন প্রশ্নের আপনারা সম্মুখীন হন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কিভাবে ইঞ্জিন অয়েলের গ্রেড নির্বাচন করবো? কিভাবে ব্র্যান্ড নির্বাচন করবো? মিনারেল নাকি সেমি-সিনথেটিক নাকি ফুল্লি-সিনথেটিক ব্যবহার করবো? কত কিলোমিটার পর পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করবো? এবং সেই সাথে বেটার পারফরেন্স পাওয়ার জন্য বাড়তি আর কি কি করা যেতে পারে?
জয়েন করুন ৫০ হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার
আজকে এই প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করবো
০১, গ্রেড কিভাবে নির্বাচন করবেন?
গ্রেট নির্বাচন করার জন্য সর্বোত্তম এবং সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে আপনার বাইকের সাথে সরবরাহ করা ওনার্স ম্যানুয়াল ফলো করা। সেখানে আপনার বাইকের জন্য কোন গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল লাগবে সেটা খুব সুস্পষ্ট ভাবে লেখা আছে। সাধারণত এফ এই বাইক এর জন্য 10w40 এবং কার্বোরেটর বাইকের জন্য 20w40 সাজেশন দেওয়া হয়। এর আরো অনেক গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল রয়েছে।
০২, ব্র্যান্ড কিভাবে নির্বাচন করবেন?
সহজ হচ্ছে ইঞ্জিন অয়েল উৎপাদন করে এমন কোন কোম্পানিকে আপনার বাইকের জন্য নির্বাচন করা। অথবা সরাসরি ইঞ্জিন অয়েল উৎপাদন করে এরকম কোন কোম্পানির কাছ থেকে অন্য কেউ বাংলাদেশে বাইকের জন্য ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে আসছে সেটাও আপনারা নির্বাচন করতে পারেন। এইসব ক্ষেত্রে কিছু রিভিউ দেখতে পারেন সেই সাথে এই ইঞ্জিন অয়েল টা তাদের দেশ জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে কিনা, তাদের সার্ভিস পয়েন্ট রয়েছে কিনা, ইউসার রেস্পন্স কেমন ইত্যাদি বিবেচনায় আনতে পারেন।
আরো পড়তে পারেন
০৩, মিনারেল নাকি সেমি-সিনথেটিক নাকি ফুল্লি-সিনথেটিক ব্যবহার করবেন
আমাদের দেশে একটা নিয়ম প্রচলিত রয়েছে যেমন মিনারেল ১০০০ কিমি, সেমি-সিনথেটিক ১৫০০ কিলোমিটার এবং ফুল সিনথেটিক ২০০০ কিলোমিটার চালানো যায়। এবং এ কথাও প্রচলিত আছে যে জিরো কিলোমিটার থেকে সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা যায় না শুরুতে মিনারেল তারপরে সেমি সেমথেটিক এরপরে পর্যায়ক্রমে ফুল সিন্থেটিক এ প্রবেশ করতে হয়।
ধারনাটা অনেকাংশেই ভুল। এখন অনেক মোটরসাইকেল রয়েছে যেগুলো লঞ্চ করার সময় কোম্পানি বলে দিচ্ছে যে শুরু থেকেই ফুল সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হবে। ফুল সিনথেটিক ব্যবহারে বাইকের কোনো ক্ষতি হয় না বরং পারফরম্যান্স আরো বৃদ্ধি পায়।
০৪, কত কিলোমিটার পর পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করব?
এই প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে আপনি যদি আমার পূর্বের কথাটি শুনে থাকেন তাহলে নিয়মের বাইরে কয়েক কিলোমিটার চালিয়ে দেখুন। মিনারেল ১০০০ কিমি, সেমি-সিনথেটিক ১৫০০ কিলোমিটার এবং ফুল সিনথেটিক ২০০০ কিলোমিটার চালানো যায় এই সূত্রের বিশ্বাসী হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মের বাইরে কিছু কিলোমিটার চালিয়ে দেখুন। ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনের সবচেয়ে সর্বোত্তম সময় হচ্ছে বাইকের ইঞ্জিন থেকে উৎপাদিত সাউন্ড শুনে পরিবর্তন করা। গিয়ার থেকে কোন প্রবলেম আসছে কিনা সেটাও খেয়াল করতে পারেন।
আরো পড়তে পারেন
০৫, ইঞ্জিন অয়েল থেকে বেটার পারফরম্যান্স পেতে আপনি আর কি কি করতে পারেন।
সবার আগে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনার রাইডিং একটু পরিবর্তন আনতে হবে। দিনের শুরুতে রাইড করার সময় ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়েই গতি তোলা যাবে না। যদি সম্ভব হয় বাইকটাকে নিউট্রাল করে রেখে মোটামুটি এক মিনিট ইঞ্জিনটাকে চালু করে রাখুন। রাস্তায় নেমে গতি তোলার আগে ইঞ্জিনটাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম হওয়ার সুযোগ করে দিন। হঠাৎ গতি বাড়িয়ে আবার হঠাৎ গতি কমিয়ে চলা থেকে বিরত থাকুন। একটা নির্দিষ্ট গতিতে সবসময় বাইক চালাতে চেষ্টা করুন। ক্লাস এবং থ্রটলের কম্বিনেশন ঠিক রাখুন।
আশা করছি উপরের কথাগুলো আপনাদের পরিষ্কার হয়েছে এর বাইরেও যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে সে ক্ষেত্রে আপনারা আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন আমাদের মেসেজ ইনবক্স সব সময় খোলা রয়েছে আপনাদের জন্য।
ভিডিও অংকের হিসাবে খরচ কম কিসে, মিনারেল নাকি সিনথেটিক ?