ইঞ্জিন ভালো রাখবে যে কাজ গুলো

সেপ্টেম্বর 24, 2019

ইঞ্জিন ভালো রাখবে যে কাজ গুলো

নিয়মিত বাইক মেন্টেনেন্স করলে যেমন বাইক ভালো থাকে পাশাপাশি এই মেন্টেনেন্স নিজেই করলে কমে খরচ। আর নিজেই যদি টুকটাক কাজ করতে পারেন এতে ছোট ছোট সমস্যার জন্য সার্ভিস পয়েন্টে পাগোলের মত ছুটতে হয় না।

আর যারা নিয়মিত বাইক চালান তাদের টুক টাক কিছু কাজ জানতেই হয়। কারন যন্ত্রের কোন ঠিক নেই। যে কোন সময় বেকে বসতে পারে।

তবে একটা বিষয় কি জানেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে বড় কোন সমস্যা থাকে না। এর বেশির ভাগ আপনি নিজেই সমাধান করতে পারবেন। কি কি কারনে বাইক হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় তা নিয়ে বিস্তারিত একটি আর্টিকেল এই ব্লগে প্রকাশ করা আছে। আর্টিকেল টি পড়তে ক্লিক করুন

আজ আমরা জানবো কি কি কাজ আগে থেকে করতে থাকলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যাবে। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক…

# নিয়ম করে নির্দিষ্ট কিঃমিঃ পর পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন
প্রতি 6 মাস বা ১000 মাইল ব্যবধানে ইঞ্জিন তেল পরিবর্তন করুন। তবে এটা ইঞ্জিন ওয়েল ভেদে তারতম্য হয়। কিছু কিছু ইঞ্জিন ওয়েল দিয়ে ১৫০০ থেকে ২০০০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত চালানো যায়। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন তেলের প্রাথমিক কাজ হল লুব্রিক্যান্ট হিসাবে কাজ করা। তেল ইঞ্জিনের শব্দ কমাতে, আপনার ইঞ্জিনের অন্যান্য অংশগুলি শীতল রাখতে এবং পিস্টনগুলির জন্য একটি সিল হিসাবে কাজ করে। তেল অবশ্যই ভাল ও এর মানের ধারাবাহিকতা থাকতে হবে যাতে এটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। তেল খুব ঘন হতে পারবে না যে তৈলাক্তকরণের জন্য এটি আপনার ইঞ্জিনের সমস্ত অংশগুলির মধ্যে সঠিকভাবে প্রবেশ করতে পারে না। একই সময়ে, তেল এত পাতলা হতে পারবে না যে এটি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। সঠিক গ্রেডের ইঞ্জিন ওয়েল ব্যাবহার করতে হবে।

# চেইন মেন্টেনেস
বাইকের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা অংশ নির্বাচন করলে চেইন একটি। কেননা এই চেইনের উপরই বাইকের পারফরমেন্স, মাইলেজ এগুলো নির্ভর করে। আমরা অনেকেই মনে করি গুরুত্ব নিয়ে চেইন পরিষ্কার করার কোন প্রয়োজন নেই। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বাইকের যদি ভালো পারফরমেন্স পেতে চান তবে অবশ্যই চেইনের যত্ন নিতে হয়। তবে যত্ন নেওয়ার ব্যাপারটা জানলেও অনেকেই জানেন না কিভাবে বাইকের চেইন পরিষ্কার করতে হয়। জানতে ক্লিক করুন।

# সঠিক টায়ার প্রেশার
মোটরসাইকেলের টায়ার প্রেশার সবসময় একুরেট রাখার চেস্টা করুন। এক্ষেত্রে সামনে এবং পিছনে কত পিএস আই প্রেশার রাখতে হবে সেটি লেখা আছে আপনার বাইকের পিছনের চাকার আশে পাশেই । একটু চেস্টা করলেই খুজে পাবেন । সাধারনত সামনে ২৯ এবং পিছনে ৩৩ রাখাই উত্তম তবে যাদের ওজন একটু বেশি বা পিলিয়ন নিয়ে চলেন তারা সামনে সর্বোচ্চ ৩৫ এবং পিছনে ৪০ পিএস আই রাখতে পারেন। তবে বৃষ্টির দিনে ভেজা রাস্তায় টায়ার প্রেশার অবশ্যই একটু কম রাখুন ভাল গ্রিপের জন্য। সঠিক টায়ার প্রেশার রাখলে ভাল গ্রিপ, ভাল ব্রেকিং এবং ভাল মাইলেজ পাবেন।

# এয়ার ফিল্টার
আপনার মোটরসাইকেলের এয়ার ফিল্টার যদি ময়লা এবং ধূলিকণায় আবদ্ধ থাকে তবে আপনার মোটরসাইকেলের সঠিকভাবে শ্বাস নিতে সক্ষম হবে না। এটি আপনার মোটরসাইকেলের শক্তি এবং উপ-মানক কর্মক্ষমতা হ্রাস করবে। তাই নিয়মিত এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার করার সময় যদি ফিল্টারটির কোন খারপ লক্ষন দেখা যায় তবে পরিবর্তন করে নিন।

# ক্লাচ প্লেটের ব্যাবহার
ক্লাচ লিভার মানিয়ে নেওয়ার যে ব্যাপারটা এখানটায় অনেক বাইকারেরই অভিযোগ থাকে। কিন্তু উচিত ক্লাচ লিভার সেটআপ শেষ হলেই এটাকে ফিক্সড মনে করে নিজেকে এর সাথে মানিয়ে নেওয়া। বাইক চালাতে হলে ক্লাচ লিভারের সম্পর্কটা জরুরী। যেমন কখনো হাফ ক্লাচ করা যাবে না। আর ক্লাচ লিভার ছাড়তে আর ধরবে হবে খুবই সহজ ভাবে। জোরে ধরে এটা বুঝানো যাবে না এর সাথে আপনার বা আমার যুদ্ধ হচ্ছে। আর ব্যাপারটা একদম ধরলেও ফুল আর ছাড়লেও ফুল হতে হবে। মাঝামাঝি কিছু সম্ভব নয়। এভাবেই ক্লাচ প্লেটকে দীর্ঘ স্থায়ী করতে হয়। তবুও এই পুরো ব্যাপারটি বাইকারের কাছে। আমরা কেবল বুঝিয়ে দিতে পারবো কিন্তু কাজের কাজ তাদেরই করতে হয় এবং করছেন প্রতিদিন। অনেকেই দেখা যায় এত জোরে ক্লাচ ধরা আর ছাড়ার কাজটা করে থাকেন যে কয়েকদিন পরে পরেই এই প্লেট পাল্টাতে হয়। কিন্তু এভাবে করলে নিজের লস ছাড়া লাভ বিন্দুমাত্র হবে না।