সঠিক প্রতিরক্ষামূলক গিয়ার শুধুমাত্র রাইডারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না বরং প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য আরাম এবং ব্যবহারিকতা যোগ করে।
1. হেলমেট:
নিরাপত্তা গিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল হেলমেট। বাংলাদেশে, হেলমেট বাধ্যতামূলক, কিন্তু অনেক যাত্রী এখনও সস্তা, কম সুরক্ষামূলক মডেল বেছে নেয়। ECE বা DOT-এর মতো যথাযথ সার্টিফিকেশন সহ একটি ভাল ফিট করা হেলমেট আরাম এবং নিরাপত্তা উভয়ই নিশ্চিত করে। ফুল-ফেস হেলমেটগুলি উচ্চতর সুরক্ষা প্রদান করে এবং বাতাস এবং শব্দ কমাতে সাহায্য করে, যা ঢাকার যানবাহনে দীর্ঘ যাত্রাকে সহনীয় করে তুলতে পারে।
2. রাইডিং গ্লাভস:
প্রায়শই উপেক্ষা করা হয়, সঠিক গ্রিপ বজায় রাখার জন্য এবং দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আপনার হাতকে ফোস্কা, ঠান্ডা এবং আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য গ্লাভস গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য, শ্বাস-প্রশ্বাসের উপকরণ সহ গ্লাভস আদর্শ, মানে বাতাস চলাচল করতে পারে এই ধরনের। এ ক্ষেত্রে হালকা ওজনের, জাল গ্লাভস বেছে নিতে পারে যা বায়ুচলাচল এবং সুরক্ষা উভয়ই সরবরাহ করে।
3. রাইডিং জ্যাকেট:
যদিও অনেক যাত্রী শহরের গরম আবহাওয়ায় জ্যাকেট অপ্রয়োজনীয় মনে করতে পারে, তবে হালকা ওজনের জাল/ ম্যাস রাইডিং জ্যাকেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ অন্তর্নির্মিত বর্ম সহ জ্যাকেট কনুই, কাঁধ এবং পিঠ রক্ষা করে, পড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা প্রদান করে। আধুনিক রাইডিং জ্যাকেটগুলি বায়ুচলাচল সহ ডিজাইন করা হয়েছে, যা সুরক্ষা নিশ্চিত করার সাথে সাথে ঢাকার উষ্ণ আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
4. রাইডিং বুট:
মজবুত রাইডিং বুট দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পা এবং গোড়ালিকে রক্ষা করে এবং বাইকের ফুটপেগগুলিতে আরও ভাল গ্রিপ প্রদান করে। প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য, রাইডাররা ছোট গোড়ালি-দৈর্ঘ্যের বুট বেছে নিতে পারেন, যা বাইক চালানো এবং হাঁটা উভয়ের জন্যই আরামদায়ক।
5. বৃষ্টির গিয়ার:
ঢাকার অপ্রত্যাশিত আবহাওয়া বাইক রাইদের চিন্তার কারন হয় সব সময়। এই রোদ ত এই বৃষ্টি। তাই সাথে রাখতে পারেন হালকা ওজনের, জলরোধী রেইন স্যুট যা ব্যাকপ্যাকে সহজেই সংরক্ষণ করা যায়। মনে রাখবেন বর্ষা মৌসুমে এটি জীবন রক্ষাকারী গেজেড।
সঠিক গিয়ার নিশ্চিত করে যে, ঢাকায় মোটরসাইকেল যাতায়াত আরও নিরাপদ এবং আরামদায়ক। এটি নিরাপত্তায় একটি বিনিয়োগ ও প্রতিদিনের ট্রাফিকের অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।