মোটরসাইকেল সার্ভিসিং এর দরকারি টিপস

ফেব্রুয়ারি 26, 2022

মোটরসাইকেল সার্ভিসিং এর দরকারি টিপস

এই কথার সাথে সবাই একমত হবেন যে বাইক বাঁচে যত্নে, দামি ব্রান্ড বা ভালো মানের জন্য না। আপনি যত দামি ব্রান্ড বা ভালো মানের বাইক চালান না কেন, যদি সঠিক ভাবে মেন্টেনেন্স করতে না পারেন তবে তা থেকে দীর্ঘদিন সুবিধা নিতে পারবেন না।
যাদের মোটরসাইকেল আছে তাদের দেখলেই বোঝা যায় এ যানটি কতটা সুবিধাজনক। হালকা ওজনোর একটি মোটরসাইকেল থাকলে আপনি খুব দ্রুত এবং সহজেই চলাচল করতে পারবেন।
ভালোভাবে সার্ভিসিং করা বাইক আপনি রাস্তায় নিরাপদে চালাতে পারবেন। ভালোভাবে সার্ভিসিং করানো না হলে নির্জন কোন স্থানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
তাই বাইক সার্ভিসিংএর বিষয়গুলো ভালোভাবে জানাটা খুবই জরুরী। আপনি যখন বাইক সার্ভিসিংএর পেছনে আপনার সময় এবং শক্তি উভয় ব্যয় করবেন তখন কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের দিকে আলাদা ভাবে নজর দিতে হবে।

কখন বাইক সার্ভিসিং করাতে হয়ঃ

আপনার চালানোর ধরনের উপর ভিত্তি করে আপনি রুটিন করে নিন কবে কোন দিন কোথা থেকে সার্ভিস করাবেন। এর পর সময় হলেই সার্ভিস করিয়ে নিন। যদি আপনি কোন সমস্যা নাও পান তাও সার্ভিস করিয়ে নিন।
সার্ভিস করানোর জন্য আমরা সব সময় বলি, বাইকের জন্য বেস্ট মেকানিক সিলেক্ট করা চাই। হোক সেটা বাসা থেকে দূরে। কারন অনভিজ্ঞ হাত বাইকের একটা সমস্যা সমধান করবে আর নতুন করে সৃষ্টি করবে আরেকটা।

পুরাতন বাইকের সার্ভিসিং প্রয়োজন হলে কখন সেটি করতে হবেঃ

আপনার যদি বাইক সার্ভিসিংএর ব্যাপারে যদি কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচী না থাকে, তবে কিছু বিষয় আছে যেগুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন সেটি সার্ভিসিং করাতে হবে। প্রথমত আপনি খেয়াল করবেন বাইক ঠিকমতো চলছে কি না। রাস্তায় চলতে যদি এটি সমস্যা করে তাহলে বুঝতে হবে এটি সার্ভিসিং করাতে হবে। আর সর্বশেষ সার্ভিসিং যদি অনেক আগে করানো হয়ে থাকে, তাহলে কোনো দক্ষ মেরামতকারী দিয়ে বাইকটি ভালোভাবে পরীক্ষা করানো উচিৎ ।

পাশাপাশি প্রতিটা বাইকের একটা নির্দিষ্ট ইঞ্জিন সাউন্ড আছে, মাইলেজ আছে। এইগুলার কোন তারতম্য হলেই বুঝতে হবে সার্ভিস করাতে হবে।

সার্ভিসিং না করালে যা ঘটবে

আপনি কোন গুরুত্ব পূর্ণ কাজে বের হয়েছেন, দেখবেন বাইক স্টার্ট নিচ্ছে না বা স্টার্ট নিলেও আবার মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আপনার বাইকটি যদি সার্ভিসিং না করিয়ে ফেলে রাখেন তবে বাংলাদেশের রাস্তায় সেটি নিরাপদে এবং সঠিকভাবে চলার ক্ষেত্রে কষ্টকর হয়ে যাবে। যারা নিয়মিত তাদের বাইক সার্ভিসিং করায় না তারা চলাচলের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যায় পড়ে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা জ্বালানির খরচ অনেক বাড়িয়ে দেয়।

তাই নিজর সুবিধার জন্যই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে দ্রুত এবং সহজেই বাইক সার্ভিসিং করিয়ে নেয়া।

নিজেই সার্ভিসিং করুনঃ

বাইকের কিছু কিছু কাজ আছে জেগুলো আপনি নিজেই করতে পারেন। এই যেমন ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন, চেইন পরিষ্কার বা অয়েল দেয়া, আরপিএম চেক করা, স্পার্ক প্লাগ পরিবর্তন বা বাইক ওয়াস ইত্যাদি।

নিজে করলে যেমন পয়সা বাঁচবে পাশাপাশি বাইকের প্রতি ভালোবাসাও বাড়বে। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই বাইক মেরামতের ব্যাপারে আপনার দক্ষতা এবং জ্ঞান থাকতে হবে যাতে করে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আপনি করতে পারেন এবং রাস্তায় আপনি কোনো সমস্যা ছাড়াই বাইক চালাতে পারেন।

বাংলাদেশে বাইক মেরারমতের জন্য অনেক দোকান রয়েছে, তাই বুদ্ধিমানের কাজ হল জেনে নেওয়া যে কোন দোকানটি আপনার জন্য উপযুক্ত আর কোনটি এড়িয়ে চলতে হবে। এসব সম্পর্কে ভালো ধারনা পেতে আপনার এলাকায় যারা বাইক চালায় তাদের কাছে থেকেও তথ্য নিতে পারেন। ভালো হয় যদি কোনো দক্ষ ব্যক্তি যিনি এই নির্দিষ্ট বাইকের উপর কাজ করেন তার কাজ দেখা যাতে করে আপনি জেনে নিতে পারেন যে আপনার বাইকের জন্য সেটি উপযুক্ত কি না।