সাধারণত 150cc এবং উপরে প্রায় সব মোটরবাইকেই টাকোমোমিটার থাকে । টেকোমিটার ইঞ্জিন RPM দেখায় এবং এটি গিয়ারের পরিবর্তনের সাথে পাল্টে যায়। আসুন RPM কী এবং কীভাবে কাজ করে জেনে নেই ।
RPM (প্রতি মিনিটে রোটেশন) ক্র্যাংক শাফট প্রতি মিনিটে রোটেশন পরিমাপের জন্য একক। ক্র্যাঙ্ক শাফট ইঞ্জিনের মধ্যে ঘূর্ণায়মান শাখা যা গিয়ার বক্সে ফ্লাই স্ক্রিল এবং ক্লাচের সাথে সংযুক্ত থাকে।
একটা উধাহরন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি, ধরেন আপনার বাইকের ইঞ্জিনটি 8500 আরপিএম-এ 24.5 বিএইচপি সর্বোচ্চ পাওয়ার তুলতে পারে। এর অর্থ এই যে ইঞ্জিনের পিস্টনের সাথে সংযুক্ত ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট প্রতি মিনিটে 8500 বার ঘুরছে, ও ইঞ্জিনটি 24.5 বিএইচপি সমান শক্তি উত্পন্ন করতে সক্ষম।
এর প্রধান কাজ হোল ঘূর্ণায়নের মাধমে শক্তি উৎপাদন করা এবং এটি গিয়ারবক্সের মাধ্যমে পিছনের চাকায় শক্তি সরবরাহ করা ।
কিভাবে RPM নিয়ন্ত্রণ করবেন ?
সবসময় সঠিক ইঞ্জিন গতিতে আপনার বাইক চালানোর অভ্যাস করুন ।এটি শুধু মাত্র আপনাকে নিরাপদ যাত্রা উপহার দিবে না আপনার বাইকেও ভালো রাখবে ।
সব সময় উচ্চতর RPM- এ বাইক চালনা আপনাকে স্বল্প সময়ের সন্তুষ্টি দেয় কিন্তু এর রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বারিয়ে দেয় । সুতরাং হাইওায়ে তে বাইক চালানোর সময় RPM ৪০০০-৬০০০ এবং সিটিতে চালানোর সময় ৩০০০-৫০০০ এর মধ্যে চালানোর চেষ্ঠা করুন ।
এটি কেবল বাইকটির জীবনকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে না বাইকের মাইলেজও বৃদ্ধি কোরে আপনাকে অর্থনীতিক ভাবেও সাহায্য করে ।
পারফরম্যান্স উপর প্রভাব
বাইকের সঠিক পারফরম্যান্স অনেকাংশে ,বাইক সঠিক RPM এ চালানোর উপর নির্ভর করে । আপনি যদি নিম্ন(সঠিক) RPM এ বাইক চালান ,আপনি পাবেন একটি ঝুঁকিহিন সুন্দর যাত্রা ।অন্যদিকে উচ্চ RPM এ বাইক চালালে আপনার বাইক ভাইব্রেসন করবে , আপনি চালিয়ে সাদছন্দ বোধ করবেন না ।
সবসময় উচ্চ RPM এ বাইক চালানোর ক্ষতিকর দিক
০১ উচ্চ RPM এ বাইক চালালে আপনার বাইকের ইঞ্জিন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম হবে ।
০২ উচ্চ RPM এ বাইক চালালে বাইকের পিস্টনের রিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।
০৩ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আপনার বাইকের Valvetrain and Camshafts.
০৪ উচ্চ RPM আপনার ফুয়েল খরচ বারিয়ে দেয় ।
০৫ উচ্চ RPM বাইকের exhaust valves এর ক্ষতি করতে পারে ।
