৫টি সেরা কমিউটার বাইক
সেপ্টেম্বর 03, 2024
Views
Shares
ইয়ামাহা ব্র্যান্ড তাদের স্পোর্টস ক্যাটাগরির বাইকগুলোর কারণে বাংলাদেশে বিপুল জনপ্রিয়। তাদের প্রতিটি বাইকের বেশ ভালো ডিমান্ড রয়েছে বাংলাদেশে। তাই ইয়ামাহার বাইকগুলো বাংলাদেশে আমদানি করে থাকে এসিআই মোটরস। এই ব্র্যান্ডের ডেডিকেটেড কমিউটার সেগমেন্টের বাইক তেমন একটা বাংলাদেশে না থাকলেও স্পোর্টস-কমিউটার সেগমেন্টের বেশ কিছু বাইক বাংলাদেশে রয়েছে। তাই, আজকের লেখায় আপনাদের জানাবো বাংলাদেশের ৫টি সেরা ইয়ামাহা কমিউটার বাইক সম্পর্কে।
জয়েন করুন 72 হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার
১।YAMAHA SALUTO 125 UBS
এই বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে ১২৫ সিসির এয়ার-কুলড, ৪-স্ট্রোক, এসওএইচসি ইঞ্জিন যা ৬.১ কিলোওয়াট পাওয়ার ও ১০.১ এনএম টর্ক জেনারেট করতে সক্ষম। থাকছে কিক ও ইলেক্ট্রিক স্টার্ট। বাইকের ফুয়েল ক্যাপাসিটি ৭.৬ লিটার ও ওজন প্রায় ১১৩ কেজি। বাইকের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৮০ মিমি ও সিটের উচ্চতা ৮০৫ মিমি। বাইকের সামনে থাকছে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে থাকছে সুইং-আর্ম সাসপেনশন। বাইকের সামনে সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেক ও পেছনে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে, সাথে থাকছে ইউবিএস ব্রেকিং সাপোর্ট। এই বাইক আপনাকে ৬৫ কিলোমিটারের মাইলেজ ও ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার সর্বোচ্চ গতি অফার করতে পারবে।
২।FZS V3 ABS Vintage Edition
এটি ইয়ামাহার স্পোর্টস-কমিউটার সেগমেন্টের বাইক। এই বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০ সিসির এয়ার-কুলড, ৪-স্ট্রোক, এসওএইচসি ইঞ্জিন যা ১৩ বিএইচপি পাওয়ার ও ১২.৮০ এনএম টর্ক জেনারেট করতে সক্ষম। এই বাইক থেকে আপনি ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটারের মাইলেজ ও ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার সর্বোচ্চ গতি পাবেন। বাইকের সামনে দেয়া হয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে দেয়া হয়েছে মনোশক সাসপেনশন। এছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে ডিস্ক-ব্রেক সেটআপ ও সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সাপোর্ট। বাইকের ওজন প্রায় ১৩৭ কেজি ও ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১২.৮ লিটার।
আরো পড়তে পারেন
৩।Yamaha FZs Fi Deluxe
এই বাইকেও একই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। সাথে থাকছে ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন ও ওয়েট-মাল্টিপ্লেট ক্লাচ। এই বাইক আপনাকে ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটারের মাইলেজ ও ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার সর্বোচ্চ গতি দিতে পারবে। এছাড়া সামনে থাকছে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে থাকছে ৭-স্টেপ অ্যাডযাস্টেবল মনোশক সাসপেনশন। বাইকে থাকছে ডিস্ক ব্রেক সেটআপ ও সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সাপোর্ট। বাইকের ওজন ১৩৫ কেজি ও ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১৩ লিটার। তাই ভিনটেজ এডিশনের সাথে এই এডিশনের শুধু এডিশনগত পার্থক্য ছাড়া আর বিশেষ কোনো পার্থক্য আমরা দেখছি না।
৪।YAMAHA FZ-S FI V2
এই বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০ সিসির এয়ার-কুলড, ৪-স্ট্রোক, এসওএইচসি ইঞ্জিন যা ১৩ বিএইচপি পাওয়ার ও ১২.৮ এনএম টর্ক জেনারেট করতে সক্ষম। তাই এই বাইক থেকে আপনি ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার সর্বোচ্চ গতি ও ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটারের মাইলেজ আশা করতে পারেন। বাইকের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬০ মিমি এবং ওজন প্রায় ১৩৩ কেজি। বাইকের সামনে ব্যবহার করা হয়েছে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন ও পেছনে দেয়া হয়েছে মনোক্রস সুইং-আর্ম সাসপেনশন। এছাড়া সামনে ও পেছনে দেয়া হয়েছে ডিস্ক ব্রেক।
৫।YAMAHA FAZER FI V2
এটি ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের স্পোর্টস-কমিউটার সেগমেন্টের অতি জনপ্রিয় একটি বাইক। এই বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০ সিসির এয়ার-কুলড, ৪-স্ট্রোক, এসওএইচসি ইঞ্জিন যা ১৩ বিএইচপি পাওয়ার ও ১২.৮ এনএম টর্ক জেনারেট করতে সক্ষম। বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন ও ওয়েট-মাল্টিপ্লেট ক্লাচ। এই বাইক থেকে আপনি ৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটারের মাইলেজ ও ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার সর্বোচ্চ গতি পেয়ে যাবে। বাইকের সামনে ব্যবহার করা হয়েছে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন ও পেছনে দেয়া হয়েছে মনোক্রস সুইং-আর্ম সাসপেনশন। এর পাশাপাশি সামনে থাকছে ডিস্ক ব্রেক ও পেছনে থাকছে ড্রাম ব্রেক সাপোর্ট।
পরিসংহার
ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের প্রতিটি বাইক বাংলাদেশে তুমুল জনপ্রিয়। এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে তাদের বাইকের স্থায়িত্ব, আফটার-সেলস সার্ভিস ও রাইডারদের সাথে নিবিড় সম্পর্কের পরিচর্যা। তাই বাইক নেয়ার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের বাইকগুলো কনসিডারেশনে রাখতে পারেন।
তথ্যঃ bikesguide