বাইকের গিয়ার শক্ত হওয়ার কারণ
জানুয়ারি 03, 2024
Views
Shares
গিয়ার, মোটর বাইকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গিয়ার মুলত ইঞ্জিনের শক্তিকে চাকায় পোছানোর সুইচ হিসাবে কাজ করে। আপনি যখন গিয়ার পরিবর্তন করছেন ও স্বাভাবিক ভাবেই করছেন, তাহলে তো কোন সমস্যাই নেই। কিন্তু গিয়ার পরিবর্তনের সময় কোন প্রকার শব্দ হয় বা ধাক্কা খায় তবে বুঝতে হবে কোথাও না কোথাও সমস্যা হচ্ছে। আজ আমারা আলোচনা করবো, কেন বাইকের গিয়ার শক্ত হয়ে যায় ?
গিয়ার, মোটর বাইকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গিয়ার মুলত ইঞ্জিনের শক্তিকে চাকায় পোছানোর সুইচ হিসাবে কাজ করে। আপনি যখন গিয়ার পরিবর্তন করছেন ও স্বাভাবিক ভাবেই করছেন, তাহলে তো কোন সমস্যাই নেই। কিন্তু গিয়ার পরিবর্তনের সময় কোন প্রকার শব্দ হয় বা ধাক্কা খায় তবে বুঝতে হবে কোথাও না কোথাও সমস্যা হচ্ছে। আজ আমারা আলোচনা করবো, কেন বাইকের গিয়ার শক্ত হয়ে যায় ?
জয়েন করুন ৬০ হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার
ইঞ্জিন অয়েল পুরনো হলে
ইঞ্জিন অয়েলের সাথে গিয়ার সিফটং এর সরাসরি যোগাযোগ থাকার কারনে ইঞ্জিন অয়েলের লুব্রিকেশনের ফলেই গিয়ার স্মুথ ও হার্ড হয়ে থাকে। তাই আপনি সঠিক গ্রেড এবং মানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করছেন কিনা সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ আবার নির্ধারিত সময়ে পরিবর্তন করছেন কিনা সেটাও দেখার বিষয় রয়েছে। যদি আপনি অনেক পুরনো ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করেন অথবা নির্দিষ্ট গ্রেট এবং মান এর ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার না করেন সেক্ষেত্রে আপনার বাইকের গিয়ার টা হার্ড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্লাস এডজাস্টমেন্ট ঠিক না হলে
আমাদের হ্যান্ডেল বারের হাতের বাম পাশে যেই ক্লাসটা রয়েছে এইটা হচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাসের ফ্রীপ্লে যদি ঠিকঠাক মতন না থাকে সেক্ষেত্রে গিয়ার শক্ত হয়ে থাকতে পারে। বাইকের ক্লাচ এর ফ্রীপ্লে টা সাধারণত দুই ধরনের করা হয়ে থাকে একটা স্মুথ ফ্রীপ্লে এবং আরেকটা ইনিশিয়াল বা রেডি-পিকআপ। যদি আপনার বাইকটা স্মুথ পিকাপের হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি যদি সেটার ইনিশিয়াল অনুযায়ী ঠিক করেন তাহলে আপনার ক্লাসের ফ্রীপ্লে টা ঠিক থাকবে না ফলে আপনার গিয়ার শক্ত হয়ে যাবে।
লম্বা সময় সার্ভিস না করলে
এছাড়া বাইক দীর্ঘদিন সার্ভিসিং না করানোর ফলে এমনটি হতে পারে, অর্থাৎ বাইকের রেগুলার মেইন্টেনেন্স এবং পার্টস রিপ্লেস্মেন্ট না করার ফলে এমনটি হতে পারে, এর সমাধান হিসাবে বাইকটি সার্ভিস করাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সব পার্টস পরিবর্তন করাতে হবে।
বাইক নতুন হলে
সাধারণত নতুন মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ফ্রি হতে একটু সময় লাগে। যেটাকে ইঞ্জিন ব্রেকিং পিরিয়ড নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। এই ইঞ্জিন ব্রেকিং এর সময় গিয়ার সাধারণত একটু শক্তই থাকে। লম্বা সময় চালানোর ফলে গিয়ারটা আস্তে আস্তে স্মুত হয়ে যায়। সুতরাং নতুন বাইক কেনার পরে যদি আপনার কাছে একটু শক্ত মনে হয় তা হলে এতে ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই এটা আস্তে আস্তে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে এটার জন্য আলাদা করে সার্ভিসে যাওয়া অথবা কোন পার্টস সংযোজন করার দরকার নেই।
ক্লাচ প্লেট নষ্ট হয়ে গেলে
গিয়ার পরিবর্তনের সময় আপনি ক্লাচ লিভার ফুল চেপে ধরেছেন, লো এ পরিবর্তন করেছেন আবার আপনার ক্লাচ লিভার সঠিক ভাবে এডজাস্ট করা আছে। কিন্তু তার পরেও গিয়ার পরিবর্তনের সময় বাজে শব্দ হচ্ছে। তহলে? তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার বাইকের ক্লাচ প্লেট ক্ষয় হয়ে গিয়েছে। জারা বেশি সিটি রাইডিং করেন বা জ্যামের মধ্যে বাইক চালান তাদের ক্লাচ প্লেট দ্রুত ক্ষয় বা নষ্ট হয়ে যায়। এটার নিরদিস্থ কোন সময় নেই যে ১০০০ বা ৫০০ কিমি পর পর ক্ষয় বা নষ্ট হবে। এর স্থায়িত্ত নির্ভর করে চালানর দক্ষতার উপর।
শুরুতে বাইক চালানোর সময় গিয়ার চেঞ্জ করা বা ভালভাবে গিয়ার শিফট করে বাইক রান করানোটা একটু কঠিন কাজ । কিন্তু , আসল কথা হল , যদি বাইকের ক্লাচ , পিকআপ , এবং গিয়ার সম্পর্কে হালকা ধারনা থাকে এবং প্রাকটিস করা যায় তাহলে এটি খুবই সহজ কাজ । ত্তখন আপনি নিজের আজান্তেই সঠিক সময় সঠিক গিয়ারে প্রবেশ করতে পারবেন ।
ভিডিও অংকের হিসাবে খরচ কম কিসে, মিনারেল নাকি সিনথেটিক ?