ধরেন আপনি একটা লম্বা টুরে গেলেন, ঢাকা- কক্সবাজার-রঙ্গামাটি-বান্দরবান-ঢাকা
ঢাকা-কক্সবাজার হাইওয়েতে কোন একটা রেস্টুরেন্টে আপনি বিরতি দিলেন।
হঠাৎ আপনার চোখ গিয়ে পরল আপনার বাইকের নাম্বার প্লেটে
Driving license renewal process
ধক করে উঠল আপনার বুক, সামান্য সময়ের জন্য স্তম্ভিত হয়ে গেলেন আপনি।
কারণ বাইকের নাম্বার প্লেট টা নির্দিষ্ট স্থানে আর নেই। কখন পড়ে গেছে কোথায় পড়ে গেছে তাও জানেন না?
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনি যদি এরকম অবস্থায় আগে পড়ে থাকেন অথবা সামনে এইরকম কোন বিপদের সম্মুখীন হলে আপনার প্রথম কি করা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করব এই আর্টিকেলে।
কেন ফুল প্যান্ট-শার্ট পরে মোটরসাইকেল চালাতে বলছে বিআরটিএ?
প্রথমে কোথায় যাবেন?
বি আর টি এ’র নির্দেশনা অনুসারে গাড়ির নাম্বারপ্লেট হারিয়ে গেলে সবার আগে সংশ্লিষ্ট থানায় যেতে হবে। থানায় গিয়ে বাইকের নাম্বার প্লেট হারিয়ে গেছে জানিয়ে একটি সাধারণ জিডি করতে হবে।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
তারপর? নাম্বার প্লেট উত্তোলনের আবেদন
জিডি করা হয়ে গেলে জিডির কপি নিয়ে বাইকের মালিককে যেতে হবে বিআরটিএ অফিসে। বিআরটিএ অফিসে গিয়ে বাইকের নাম্বার প্লেটটি পুনরায় উত্তোলন করার জন্য,’সহকারী পরিচালক, বি আর টি এ’- বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদনের শিরোনাম হিসেবে লিখতে হবে হারানো নাম্বারপ্লেট পুনরায় উত্তোলনের জন্য আবেদন।
Motorcycle Driving license What to do if lost
আবেদন করা হয়ে গেলে, সহকারী পরিচালক একজন মোটরযান পরিদর্শককে বাইকের চেসিস নাম্বার এবং ইঞ্জিন নাম্বার অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশ দিবেন। বাইকটি পরীক্ষা করে পরিদর্শক গাড়ির মালিককে নাম্বার প্লেট পুনরায় উত্তোলনের জন্য সুপারিশ করবেন।
কী কী লাগবে?
বিআরটিএ তে গিয়ে আবেদন করার পর আবেদনের সাথে গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের ফটোকপি এবং নাম্বার প্লেট হারানোর জিডির কপি জমা দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও সাথে রাখবেন। যেন কোন কারণে কাজে লাগে বা পরিদর্শক দেখতে চান তাহলে তাঁকে দেখাতে হবে।
BRTA লিখিত পরীক্ষার সম্ভাব্য ১৩১ টি প্রশ্ন ও সমাধান
তারপর যেতে হবে ব্যাংকে…
বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত বা সুপারিশকৃত ব্যাংকে গিয়ে গাড়ির নাম্বারপ্লেট উত্তোলনের জন্য টাকা জমা দিতে হবে এবং ব্যাংক স্লিপটি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। নতুন নাম্বার প্লেট হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত এই ব্যাংক স্লিপ হচ্ছে নাম্বারপ্লেট পুনরায় উত্তোলনের জন্য আবেদন করার প্রমান। অতএব এই স্লিপটি সাবধানতার সাথে সংরক্ষণ করতে হবে।
ভাবছেন খরচ কত?
মোটরসাইকেল এবং সিএনজি অটোরিকশার নাম্বারপ্লেট পুনরায় উত্তোলন করতে গেলে খরচ পড়বে ২২৬০ টাকা। অপরদিকে গাড়ির নাম্বার প্লেট হারিয়ে গেলে, সেটি পুনরায় উত্তোলন করতে খরচ পড়বে ৪৬২৮ টাকা।
বাংলাদেশের সড়কের Traffic সংকেত কোনটি দিয়ে কি বুঝানো হয়
কতদিন পর নাম্বার প্লেট পাবেন?
বিআরটিএ’তে আবেদন এবং ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার পর অপেক্ষা করতে হবে মোবাইলে এস এম এসের জন্য। আবেদন করার দুই মাসের মধ্যে আপনার নতুন ডিজিটাল নাম্বারপ্লেট তৈরি হয়ে গেলে, বিআরটিএ থেকে আপনার মোবাইল নাম্বারে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে এবং বিআরটিএ’তে গিয়ে গাড়িতে নাম্বারপ্লেট লাগিয়ে নিতে হবে। নাম্বার প্লেট উত্তোলনের সময় অবশ্যই ব্যাংক স্লিপ, বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফটোকপি, জিডির কপি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সাথে রাখবেন। যেসব কাগজপত্র লাগবে, কেবল সেসব কাগজপত্রই জমা দিবেন।
বাইকের নাম্বার প্লেট না থাকলে রাস্তায় মোটরযান আইনের লঙ্ঘন হয়। এতে করে আপনাকে শাস্তি পেতে হতে পারে বা জরিমানাও গুনতে হতে পারে।
