রাইডিং ও শরীর ব্যথা, করণীয় কি?

সেপ্টেম্বর 28, 2019

রাইডিং ও শরীর ব্যথা, করণীয় কি?

বাইক চালানোর সময় অনেকেরই মাজা ব্যথা, হাটুতে ব্যথা, মাথা ধরা সহ বিভিন্ন প্রকারের পেইন করে। সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি হয়, মোটামোটি প্রায় সকলেই এর সমস্যায় পড়েছেন আর তা হল হাতের কব্জিতে ব্যথা।

পুরাতন মোটরবাইক কিনে ধরা খাওয়ার আগে জেনে নিন

কেমন মেয়ে রাইডার কে ডেট করবেন?

যারা নিয়মিত রাইড করেন তারা হয়ত এই ধরনের সমস্যায় পড়েন না বা আস্তে আস্তে তারা এটার সাথে মানিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু যারা রেগুলার চালান না বা লম্বা সময় ধরে বাইক চালান তারা বেশি এই ধরনের ব্যথার সম্মুখীন হয়েছেন।

বাইক থাকবে নতুনের মত, আজীবন, কিভাবে? 

এই যে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা আমরা অনুভব করি বাইক চালানোর সময় তার কিছু হয় আমাদের রাইডিং এর ধরনের কারনে আর আর কিছু আছে চিরন্তন। বাইক চালালে হবেই। তবে আপনি এর কিছুটা কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারবেন।

তো চলুন আলোচনার মাধ্যমে এর থেকে পরিত্রাণের উপায় বের করার চেষ্টা করি…

# কম্পন কমিয়ে দিন
হ্যান্ডেলবারগুলিতে ক্রমাগত কম্পন আপনার হাত এবং আঙ্গুলগুলিতে রক্ত ​​প্রবাহকে বাধা গ্রস্ত করে। সময়ের সাথে সাথে, রক্ত ​​প্রবাহের অভাবটি আপনার হাত এবং কব্জির স্নায়ুর ক্ষতি করতে থাকে। একটা সময় প্রচুর ব্যথা করতে থাকে। তবে এমন কিছু উপায় রয়েছে যা আপনি আপনার বাইকের হ্যান্ডেলবারগুলিতে প্রয়োগ করে কম্পন কমিয়ে আনতে পারেন।

Disk Brake তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে যায় কেন

যেমন, জয়েন্ট গুলাতে কম্পন রোধক নাট ব্যাবহার করতে পারেন, বাইকের হ্যান্ডেল বার সঠিক ভাবে এডজাস্ট আছে কিনা দেখে নিন ইত্যাদি।

# সঠিক শারীরিক অবস্থানের সাথে যাত্রা করুন
বেশির ভাব ক্ষেত্রে আমাদের যে বিভিন্ন ব্যথা অনুভত হয় তার কারন সঠিক ভাবে বাইক না চালানোর কারনে। বাইক চালানোর সময় আমরা তাড়াহুড়া করি ফলে কি হয় যে রাস্তায় করনারিং না করলে চলে আমরা সেই রাস্থায় করনারিং করতে চেষ্টা করি। এতে শরীর এর উপর অতিরিক্ত চাপ পরে।

বাইকের টায়ার এক দিকে টানে ?

মাজা সোজা করে সঠিক পজিশনে বসতে হবে। পা ছড়িয়ে না রেখে ট্যাং চেপে ধরে চালাবেন। এতে বাইকের কন্ট্রলিং ভালো থাকে আবার হাটুর ব্যথা থেকেও মুক্তি মিলে।

# আরাম দায়ক গ্রিপ
সবচেয়ে বেশি আমাদের ডান হাতের কব্জিতে ব্যথা হয় কারন এই হাতটা সবচেয়ে বেশি বিজি থাকে। বাইকের থ্রটল কে সঠিক মাত্রায় এডজাস্ট করে নিন। আরাম দায়ক কভার ব্যাবহার করতে পারেন সেই সাথে থ্রোটল লক (গেজেট) ব্যাবহার করতে পারেন।

কিভাবে বাইকের মাইলেজ চেক করবেন?

তবে খুব বেশি মোটা গ্রিপ বা কভার লাগাবেন না। হাতের বুড়ো আঙ্গুল আর কনিস্টা আঙ্গুল দিয়ে সহজেই গ্রিপ করতে পারবেন এমন গ্রিপ ব্যাবহার করবেন।

# হ্যান্ডলবার এডজাস্ট
প্রতিটা মানুষ ভিন্ন। তাদের শরীরের গঠনও ভিন্ন। কিন্তু বাইক তো আপনার গঠন অনুযায়ী বানানো সম্ভব না। কোম্পানি একটা এভারেজ শারিরিক গঠন এর কথা মাথায় রেখে বাইক প্রস্তুত করে। এর কিছু টা হয়ত আপনার সাথে মিলে যায়।

বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে বাইক টাকে একদম নিজের মত করে নেওয়া। যেমন সিট উচা হলে নিচু করে নেওয়া, থ্রটল বা ক্লাচ নিজের সুবিধা মত যায়গায় সেট করে নেওয়া, বাইকের হেন্ডেল সঠিক ভাবে আপনার সুবিধা মত সেট করে নেওয়া ইত্যাদি।

বাইক চালানোর সময় নটিস করুন আপনার ক্মফোট জোন কোথায়। প্রয়োজনে সার্ভিস পয়েন্টে গিয়ে সেট করে নিন।