মিডবাজেটের সেরা বাইক

জুলাই 04, 2022

মিডবাজেটের সেরা বাইক
আমাদের দেশে মিডরেঞ্জ বাইকের চাহিদা সবচাইতে বেশি, কারন শতকরা ৫০-৬০ ভাগ বাইকারই বাইক কেনেন যানজট এড়িয়ে সময় বাচিয়ে এবং কম খরচে অফিস যাওয়া আসা, ব্যাক্তিগত কাজ, ব্যাবসায়ীক যোগাযোগ নিত্যদিনের চলাফেরা সহজ করার উদ্দেশ্যে।

আমাদের দেশে মিডরেঞ্জ বাইকের চাহিদা সবচাইতে বেশি, কারন শতকরা ৫০-৬০ ভাগ বাইকারই বাইক কেনেন যানজট এড়িয়ে সময় বাচিয়ে এবং কম খরচে অফিস যাওয়া আসা, ব্যাক্তিগত কাজ, ব্যাবসায়ীক যোগাযোগ নিত্যদিনের চলাফেরা সহজ করার উদ্দেশ্যে।

বাইক কেনার সময় তাদের মুল টার্গেট থাকে মিডিয়াম বাজেট অর্থাৎ ২ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ২০-৩০ হাজার টাকার মধ্যে এমন একটা বাইক কেনা যেই বাইকটার ডিজাইন সুন্দর হবে, মাইলেজ ভালো দিবে, সার্ভিস ভালো হবে, কম্ফোর্ট বেশি হবে এবং জরুরি প্রয়োজনে বাইক টা সেল করলে যেন ভালো দাম পাওয়া যায়।

উপরের চাহিদাগুলো পুরন করার জন্য বাজারে বেশ কিছু ভালো ব্রান্ডের বাইক রয়েছে যাদের মধ্যে চলছে টাফ কম্পিটিশন আর এই জন্যই বাইক কিনতে গেলে আপনি যেই রোগে সবচেয়ে বেশি ভোগেন তার নাম "কনফিউশন"

আসুন আপনার কনফিউশন দূর করতে আপনাকে হেল্প করি। জানানোর চেস্টা করি কোন বাইকের কোন কোন ফিচার সেরা এবং আপনার জন্য সবচেয়ে উপযোগী বাইক কোনটা?

লুকস & ডিজাইন, বিল্ড কোয়ালিটি, সার্ভিস,

fi ইঞ্জিন, ফুয়েল এফিসিয়েন্সি, কমফোর্ট, রিলায়েবিলিটি এবং সেরা রিসেল ভ্যালু নিয়ে এগিয়ে আছে

Yamaha FZS fi v2

যারা একটা অলরাউন্ডার বাইক খুজছেন তাদের জন্য Yamaha FZS fi v2 বেস্ট চয়েস।

একটা ছোট্ট ড্র ব্যাক হচ্ছে, অন্যান্য কম্পিটিটরদের তুলনায় এই বাইকের টপ স্পীড কিছুটা কম তবে ব্রেকিং, কমফোর্ট, রিসেল ভ্যালুর দিক থেকে বাইকটা আনবিটেবল। তাছাড়া এভেইলেবল স্পেয়ার পার্টস এবং অফিসিয়াল সার্ভিস দেশের আনাচে কানাচে এভেইলেবল থাকার কারনে এই বাইক বছরের পর বছর চমৎকার ভাবে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ায়।

Hornet 160R

Hornet 160R এগিয়ে থাকবে ডিজাইন এবং পার্ফর্মেন্স এর দিক থেকে। FI ইঞ্জিন না থাকাটা এই বাইকের একটা বড় ড্র ব্যাক তাই মাইলেজ নিয়ে কিছুই কম্প্রোমাইজ করতে হয়। হোন্ডার রিফাইন্ড ইঞ্জিন এবং ব্রান্ড ভ্যালু এই বাইকের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারন। ইনিশিয়াল পাওয়ার কিছুটা কম হলেও আরপিএম বাড়ার সাথে সাথে পাওয়ার ডেলিভারিও শক্তিশালী হতে থাকে তাই হোন্ডা লাভারদের জন্য হরনেট অবশ্যই গুড অপশন। সার্ভিস এবং স্পেয়ার নিয়েও খুব বেশি জটিলতা নেই।

সুজুকি জিক্সার

সুজুকি জিক্সার বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এর মিডরঞ্জ পাওয়ারের কারনে, নতুন জিক্সারে সামনে পিছনে LED লাইটের ব্যাবহার বাইকে আধুনিকতার ছোয়া দিয়েছে, তবে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা রেঞ্জের একটা বাইকে সেই আদিযুগের কার্বোরেটর ইঞ্জিনের ব্যাপারটা মেনে নেয়া যায় না। তাছাড়া বাইকটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স কম তাই উচু স্পীড ব্রেকার পার হতে গেলে ভালই বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। বাইকের সার্ভিস এভেইলেবল তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্পেয়ার পার্টের দাম অসহনীয়।

Apache RTR 160 4v

এপাচি আরটিয়ার ফোর ভি বাইকটা তরুন সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয় এর লাগামছাড়া স্পীডের কারনে। নিঃসন্দেহে RTR 4v বাইকের ইঞ্জিন অনেক পাওয়ারফুল কিন্ত ব্রেকিং এবং ব্যালেন্সের যথেষ্ট ঘাটতি থাকার কারনে এই বাইকের এক্সিডেন্ট রেকর্ড সবার চেয়ে বেশি। বাইকের সাথে যে টায়ারগুলো আসে সেগুলো প্রচন্ড শক্ত হবার কারনে ব্রেকিং পার্ফমেন্স ভালো না বলে অনেক ব্যাবহারকারি অভিযোগ করেছেন।

তবে যদি কেউ বাইকটা কিনে ভালো মানের ব্রেকিং সিস্টেম ইন্সটল করেন ও টায়ারগুলো চেঞ্জ করে সফট কম্পাউন্ডের টায়ার লাগিয়ে নেন তাহলে RTR 4v বাইকটাও কমিউটার বাইক হিসেবে খারাপ না। এবিএস ব্রেকিং এই বাইকের গুড ফিচার, তবে এফ আই ইঞ্জিন থাকলে আরো ভালো হতো। এই বাইকের স্পেয়ারের দামও তুলনামূলক বেশি।

আশা করি আপনার চাহিদার সাথে মিলে যায় এমন বাইক বেছে নেয়া এখন আপনার জন্য সহজ হবে, কারন আপনি জানতে পেরেছেন কোন বাইকের কোন দিক গুলো ভালো এবং খারাপ।

এরকম আরো ইনফরমেটিভ পোস্ট পেতে থাকুন কিউরিয়াস বাইকারের সাথেই, কমেন্টে আপনার পছন্দের বাইকের নামটা লিখে যান। ধন্যবাদ।