আবার বাড়তে পারে ডলারের দাম, মোটরসাইকেল ক্রয় আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে সামনে!

সেপ্টেম্বর 22, 2022

আবার বাড়তে পারে ডলারের দাম, মোটরসাইকেল ক্রয় আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে সামনে!
ডলারের দামের অস্থিতিশীল অবস্থার কারনে দেশের অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মত মোটরবাইক বাজারেও এর বেশ বড়সড় প্রভাব পড়েছে। যেহেতু মোটরবাইক এবং এর যন্ত্রাংশ ডলারে কিনতে হয় তাই ডলারের দাম বাড়লে মোটরসাইকেলের দাম সংগত কারনেই বেড়ে যায়।

ডলারের দামের অস্থিতিশীল অবস্থার কারনে দেশের অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মত মোটরবাইক বাজারেও এর বেশ বড়সড় প্রভাব পড়েছে।

যেহেতু মোটরবাইক এবং এর যন্ত্রাংশ ডলারে কিনতে হয় তাই ডলারের দাম বাড়লে মোটরসাইকেলের দাম সংগত কারনেই বেড়ে যায়।

ইদানিং কাগজে কলমে এবং বেশ কিছু অনলাইন পোর্টালে ডলার রেট কমার কথা বলা হলেও বাস্তবের সাথে এই তথ্যের তেমন মিল পাওয়া যায়নি। কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে বলা হয়েছে আজকের ডলার রেট ৯৩ টাকার আশেপাশে কিন্ত খোজ নিয়ে জানা গেলো ব্যাংক ১০৮ টাকা করে লেনদেন করছে যা খোলা বাজারে লেনদেন হচ্ছে ১১৩-১১৪ টাকার আশে পাশে।

সবমিলিয়ে অন্যান্য পন্যের মত মোটরবাইকের দাম কমারও কোনো সম্ভাবনা আপাতত নেই। তাছাড়া অর্থনীতিবিদগন পর্যালোচনা করে দেখেছেন বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থায় ডলারের দাম কমার তেমন সুযোগ নেই বরং তাদের আশংকা আগামীদিনে ডলারের দাম আরো অনেক বাড়তে পারে। কারন আমাদের দেশে বেশ কিছু মেগা প্রজেক্টের কাজ চলমান এবং অনেক প্রজেক্টের কাজ শেষ হয়েছে যার বেশিরভাগই বৈদেশিক ঋনের আওতাভুক্ত। যার ফলে সেসব প্রজেক্ট থেকে আয় হচ্ছে টাকায় কিন্ত বিদেশি ঋন শোধ করতে হচ্ছে ডলারে। গত ৩ দশকে টাকার মান কমেছে ১৫০ শতাংশ। বংগবন্ধু সেতু, রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল ইত্যাদি খাতে রাশিয়া, ভারত, এডিবি, জাইকা এবং চীনের দেয়া বিশাল অংকের ঋনের সুদ এবং কিস্তি সার্বিক চাপ আরো বাড়িয়ে তুলেছে।

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির বাড়তি চাপ সামাল দিতে না পেরে অন্যান্য কোম্পানির পাশাপাশি অল্পদামে লো সিসি সেগমেন্টের বাইকের অন্যতম পরিবেশক বাজাজও তাদের বাইকের দাম অনেকটাই বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।

আগে যেখানে কার্গোশীপ বা জাহাজের ভাড়া দিতে হতো ডলারে ৮৫ টাকা হারে এখন সেখানে গুনতে হচ্ছে ১১০ টাকার মত।

বর্ধিত পরিবহন ভাড়ার এই বাড়তি চাপটাও মোটরসাইকেলের দাম বাড়ার সাথে সরাসরি যুক্ত।

বাইকের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি বাইক কেনার ক্ষেত্রেও কিছু প্রতিবন্ধকতা যুক্ত হয়েছে, কিছুদিন আগে মোটরসাইকেল কেনা ও রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্টকার্ড বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা এসেছে এবং আগামী ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নিয়মটি বাস্তবায়ন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

তবে ১৫ই ডিসেম্বর ২০২২ এর পর নতুন বাইক কেনা এবং রেজিষ্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

যারা বাইক কেনার প্লান করছেন এবং দাম কমার অপেক্ষায় আছেন তাদের জন্য ভবিষ্যতে বাইক কেনা আরো কঠিন হয়ে যেতে পারে।

তাই, যেহেতু বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লার্নার দিয়ে বাইক কেনার সুযোগ আছে এই সুযোগ টা কাজে লাগিয়ে বাইক কিনে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সেই সাথে দেশের বাজারের অস্থিতিশীল অবস্থার কারনে পরামর্শ থাকবে কেনার ক্ষেত্রে এমন সব বাইক নির্বাচন করার যেসব বাইকের মাইলেজ ভালো, মেইন্টেনেন্স খরচ কম এবং রিসেল ভ্যালু সর্বোচ্চ ক্রমবর্ধমান। তাহলেই মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে আপনার ইনভেস্টমেন্ট সর্বোচ্চ সুফল বয়ে আনতে পারে। সেই সাথে মুল্যবান সময় ও টাকা বাচিয়ে ঝামেলাহীনভাবে গন্তব্যে পৌছার স্বাধীনতা তো আছেই।

লেখাঃ ইকবাল আবদুল্লাহ রাজ

এডমিন # কিউরিয়াস বাইকার ডট কম।