কলিজা কাপানো সাংঘাতিক বিপদের নাম ট্যাংক স্ল্যাপার
জুলাই 14, 2022
Views
Shares
কখনো কি এমন হয়েছে, ভালো রাস্তায় বাইক চালিয়ে যাচ্ছেন আচমকা বাইকের হ্যান্ডেল অস্বাভাবিক ভাবে ডান-বামে বড়বড় কাপুনি দিয়ে দুলে ঊঠে পুরো বাইকটাকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে গেলো আর আপনি বাইক থেকে ছিটকে পড়লেন?
কখনো কি এমন হয়েছে, ভালো রাস্তায় বাইক চালিয়ে যাচ্ছেন আচমকা বাইকের হ্যান্ডেল অস্বাভাবিক ভাবে ডান-বামে বড়বড় কাপুনি দিয়ে দুলে ঊঠে পুরো বাইকটাকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে গেলো আর আপনি বাইক থেকে ছিটকে পড়লেন?
বাইকের কাগজপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
শর্টকার্টে ঘুষ ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন কীভাবে
অথবা এরকম সিচুয়েশনে সৌভাগ্যবশত বাইকটা কোনো রকমে সামলে ফেলতে পেরেছেন কিন্ত আপনার কলিজা কেপে উঠেছে। তবে বুঝতেই পারছেন না এমন টা কেন হলো…
MotoGP ট্র্যাকের রেসেও হয়তো দেখেছেন এরকম ভৌতিক ভাবে বাইক নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে।
মহিলাদের জন্য মোটরসাইকেল চালানোর টিপস
চলন্ত অবস্থায় হটাত বাইকের হ্যান্ডেল কয়েক সেকেন্ডের জন্য Wobbling করে বাইকটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার নাম TANK SLAPPER.
সার্ভিসিং মানেই শুধু বাইক ধুয়ে চেইনে তেল দেয়া নয়, করতে হবে ২০ টি কাজ
এই Tank Slapper অনেকের সাথেই ঘটে থাকে তবে অনেকেই জানেন না কেন এমন হয় কখন হয় এবং এর থেকে বাচার উপায় কি?
হেলমেটের যত্ন না নিলে আপনার জীবন ঝুকিপুর্ন
Tank Slaper বিভিন্ন কারনে হতে পারে, যেমন
১। রাস্তার মাঝে সুক্ষ ফাটল থাকা।
২। চাকার এলাইনমেন্ট ঠিক না থাকা।
৩। টায়ারের দুইপাশের থিকনেস কমবেশি থাকা অথবা টায়ারে ফাটল বা ড্যামেজ থাকা।
৪। চাকায় একুরেট টায়ার প্রেশার না থাকা।
৫। এলয় বা স্পোক রিমের ক্ষেত্রে রিমে কোন ড্যামেজ বা আনইভেন পোর্শন অর্থাৎ টাল থাকা।
পুরাতন মোটরবাইক কিনে ধরা খাওয়ার আগে জেনে নিন
যখন আপনি উচ্চ গতিতে থাকেন তখন রাস্তার সরু কোনো ফাটল অথবা রোড থেকে সামান্য উচু রোড মার্কার পার হবার সময় ট্যাংক স্ল্যাপারের স্বীকার হতে পারেন।
গাড়ির ক্ষেত্রে অনেকে হুইল ব্যালেন্সিংয়ের বিষয়ে জানলে এবং মানলেও বাইকাররা এই ব্যাপারে উদাসীন, এটাও ট্যাংক স্ল্যাপারের জন্য দ্বায়ী।
কোন ঋতুতে মোটরবাইক সবচেয়ে বেশি তেল খায়?
এলয় রিম হলে অবশ্যই রিমটার এলাইনমেন্ট চেক চেক করে ব্যালেন্স করিয়ে নিতে হবে।
যেপাশে কম ওজন সেইপাশে সীসার তৈরি ছোট একটা কাউন্টার ওয়েট বসিয়ে হুইল ব্যালেন্সিং করা হয়। স্পোক রিম হলেও এলাইনমেন্ট করানো জরুরি।
টায়ারে ফাটল বা ড্যামেজ থাকলে টায়ার চেঞ্জ করে ফেলা উচিত, সাথে রিকমেন্ডেশন অনুযায়ী টায়ার প্রেশার ঠিক আছে কি না নিশ্চিত হয়ে নেবেন রাইডে বের হবার আগে।
5 Action cameras within budget
সাধারনত আপনি বাইকের গতি যত বাড়াতে থাকেন ট্যাংক স্ল্যাপারের সম্ভাবনা ততই বাড়তে থাকে এবং সবচেয়ে বেশি ঝুকি থাকে ১২০ কিমি/ঘন্টা স্পীডের পর থেকেই।
জার্মানি দেশের অয়েল সমাচার ও আমাদের দেশের বাইকারদের কনফিউশ
যেহেতু আমরা আমাদের দেশে সিসি লিমিট মাত্র ১৬৫ তাই আমাদের মাথায় রাখতে হবে এগুলো আসলে এন্ট্রি লেভেলের বাইক সুতরাং এই বাইক গুলো নিয়ে খুব বেশি স্পীডিং করা ঝুকিপূর্ণ কারন কম সিসির বাইকের ব্যালেন্সিং তুলনামূলক ভালো নয় তাই ট্যাংক স্ল্যাপারের স্বীকার হবার চান্স অনেক বেশি।
ইঞ্জিন অয়েল ফিল্টার নিয়ে আর হেলাফেলা নয়
ট্যাংক স্ল্যাপারের দুর্ঘটনা গুলো অত্যন্ত মারাত্মক হয় তাই আমাদের উচিত এর থেকে বেচে থাকা। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলেই ট্যাংক স্ল্যাপারের মত ভয়াবহ ঘটনা থেকে আমরা বাচতে পারবো।
যেমনঃ
১।টায়ার প্রেশার একুরেট রাখতে হবে,
২। ৩ থেকে ৬ মাস পর পর হুইল এলাইনমেন্ট এবং ব্যালেন্সিং চেক ও ফিক্স করতে হবে, টায়ারে কন্ডিশন ভালো আছে কিনা দেখতে হবে।
এবং
৩. চেস্টা করতে হবে নিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক চালানোর। নিয়ন্ত্রিত গতি বলতে বুঝাচ্ছি স্পীড লিমিট মেনে রাইড করার কথা, আমাদের দেশের হাইওয়েতে সর্বোচ্চ স্পীড ৮০ কিমি প্রতি ঘন্টা।
ইঞ্জিন ফ্লাশিং, ক্ষতি না লাভ ?
ট্যাংক স্ল্যাপারের ঝুকি কমাতে আরেকটা ইফেক্টিভ এক্সেসরিজ হচ্ছে স্টিয়ারিং ড্যাম্পার। এটা বাইকের হ্যান্ডেল কে স্টিফ করে রাখে এবং আচমকা স্টিয়ারিং কে ঘুরে যেতে বাধা দেয়। এতে হাইস্পীডেও বাইকের হ্যান্ডেল স্ট্যাবল থাকে। হাইসিসি বাইক গুলোতে স্টিয়ারিং ড্যাম্পার ইন্সটল করাই থাকে কিন্ত লো সিসি বাইকে থাকে না।
কোন টায়ারটি শুধু আপনার জন্যই বানানো হয়েছে?
যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে ট্যাংক স্ল্যাপারের বিপদ থেকে বাচতে ভালো ব্রান্ডের আফটার মার্কেট স্টিয়ারিং ড্যাম্পার ইন্সটল করে নিতে পারেন আপনার বাইকে।
আজ এ পর্যন্তই, বাইক রিলেটেড কোন কোন টেকনিক্যাল বিষয়ে আপনারা জানতে আগ্রহী তা কমেন্ট বক্সে লিখে জানান।